দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) একাডেমিক শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর’স মুভমেন্ট ফর জাস্টিস। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংগঠনটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইগাতীতে মহিলা আওয়ামী'লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
Bailey road fire incident inspired drama 'Ekti Khola Chithi' to air
হাসনাতের সমস্যা হলো, তার মাথা গরম: সারজিস
তিনি জানান, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবেন না, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাসসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সোমবার দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে শাটডাউন কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া আগামী মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে। এবার সারাদেশে তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিলেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের মতো রোববার ‘সাধারণ মেডিকেল শিক্ষার্থী’র ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনেও বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
ডক্টর’স মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের পক্ষ থেকে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
দাবিগুলো হলো:-
১. ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিটটি প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে স্বৈরাচারের প্রথম টার্মে প্রদান করা হয়।
২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা।
৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসণে দ্রুততম সময়ে শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন পূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরির প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।
৪. বেকার তৈরির কারখানা সকল ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস এবং ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও, SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। উল্লেখ্য এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।
৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি।