চট্টগ্রামে পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সুসংহত করতে একগুচ্ছ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইফতার ও সেহরির সময় কোনো অবস্থাতেই লোডশেডিং থাকবে না। বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৮০০ থেকে ৯০০ মেগাওয়াটের মধ্যে থাকলেও রমজানে এই চাহিদা বেড়ে ১২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বাঁশখালীর এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাগুরার সেই শিশুর বুকে বসানো হলো টিউব
Khaleda Zia under 'close observation' in CCU: Private doctor
তুরস্কের আনাদোলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নোবিপ্রবির ইরাসমাস প্লাস চুক্তি স্বাক্ষর
বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বর'কে জানিয়েছেন, যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দ্রুত মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত ট্রান্সফরমার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া, ওভারলোডের কারণে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে প্রতিটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এই কন্ট্রোল রুমগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
রমজান মাসে সেহরি, ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন না হয়, সেজন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও নজরদারি করা হচ্ছে। পিডিবির পক্ষ থেকে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক টেকনিক্যাল টিম কাজ করবে।
বৈদ্যুতিক সমস্যা এড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। অপ্রয়োজনীয় বাতি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখা, বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার করা এবং যেকোনো সমস্যা হলে দ্রুত কন্ট্রোল রুমে জানানো— এসব বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।