ঢাকার লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে ধূমপানের কারণে দুই তরুণীর হেনস্তার ঘটনায় গ্রেপ্তার ‘উত্ত্যক্তকারী’ গোলাম মোস্তাকীম রিংকুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর লালমাটিয়ায় আড়ংয়ের পাশের দুই তরুণীর প্রকাশ্যে ধূমপান নিয়ে রিংকুর ‘আপত্তি’ থেকে ‘বাকবিতণ্ডা’ ও মানুষ জড়ো হয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে ঘণ্টা চারেক ধরে এ নিয়ে থানা-পুলিশ হয়। ওই কথা কাটাকাটি থেকে মুহূর্তেই তৈরি হওয়া ৪০-৫০ জনের একটি ‘মব’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশমঙ্গলবার (১১ মার্চ) তাকে আদালতে উপস্থিত করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার জামিন চেয়ে আবেদন করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান রিংকুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
The cost of using mobile and internet will increase in the coming budget
গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে শিবির নেতা আটক!
সমন্বয়ক রাফিকে মেরে ফেলার হুমকি
সোমবার (১০ মার্চ) পুলিশ অভিযুক্ত রিংকুকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর ফেসবুকে পোস্ট করে তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
পরে মোহাম্মদপুর থানায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের দেন-দরবারে আপসের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই তরুণীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
ধানমন্ডির বাসিন্দা ওই দুই তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।
এর পরদিন মিরপুরে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই নারীর ওপর হামলার বিষয়ে আমি যতটুকু জানছি ওনারা না কি সিগারেট খাইতেছিল। ওই সময় কিছু লোক না কি নামাজ পড়তে যাইতেছিল। এ সময় ওনারা (লোকেরা) বাঁধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুঁড়ে মারছে। তো আপনারা জানেন ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া কিন্তু নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এজন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়। আর এখন যে রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে। বাইরে যেন কেউ খাবারটা না খায় এ বিষয়ে আমাদের ধর্ম উপদেষ্টাও কিন্তু রিকোয়েস্ট করছে। এটা যারা রোজা থাকতেছে তাদের জন্য একটা সম্মান প্রদর্শন করা।
এই মন্তব্যকে ‘মবের উসকানি’ আখ্যা দিয়ে ৩ মার্চ বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ‘অবিলম্বে অপসারণ’ চেয়ে তার কুশপুতুল পুড়িয়েছে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী।