জাতীয় Read more from
নাম, চেহারা দেখেই প্লেয়ার্স ড্রাফটের গ্রেডিং কি না প্রশ্ন কায়েসের
সালমান এফ রহমানের বিদেশের সম্পদ জব্দ, কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ অফিসকে ‘পাবলিক টয়লেট’ করার ঘোষণা
যেসব ব্যক্তিকে এ বছর স্বাধাীনতা পুরস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তার মধ্যে রয়েছেন—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে (মরণোত্তর) ২০০৩ সালে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার সুপ্রীম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার বাতিল করে, ওই রায়ে তাকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।
প্রসঙ্গত, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে (মরণোত্তর) রাষ্ট্রের বেসামরিক সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় জাতীয় পুরস্কার-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করে।
ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সরকারের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় জিয়াউর রহমানের নাম। পদক বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের পর জাতীয় জাদুঘর থেকে পদক সরিয়ে দেয়া হয়।
দীর্ঘ ৯ বছর বর্তমান সেই ফিরিয়ে নেয়া স্বাধীনতা পুরস্কার আবারো সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিলো ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে জিয়াউর রহমানকে দেয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বহালই থাকছে।