বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি নিজাম কাজীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন বিএনপি’র একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। নিহত উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি নিজাম কাজী হিজলা ইউনিয়নের মাঠপাড়া এলাকার নূর মোহম্মদ মোল্লার ছেলে।
ভারতকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কেমন সম্পর্ক চায়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার ২০ বছরের যুবককে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ!
উত্তর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে হিজলা ইউনিয়নের মাঠপাড়া এলাকার একটি চায়ের দোকানের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. জামাল কাজী গ্রুপের সাথে প্রতিদ্বন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী সাইফুল মোল্লা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জামাল কাজী গ্রুপের নেতা চিতলমারী উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি নিজাম কাজীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে নিজাম কাজীর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জামাল কাজী গ্রুপের উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা প্রতিপক্ষ সাইফুল মোল্লা গ্রুপের প্রধান মো. সাইফুল মোল্লার বাড়ীসহ ৩টি বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ জিয়া মঞ্চের সভাপতিকে হত্যার ঘটনায় সাইফুল মোল্লা গ্রুপের প্রধান মো. সাইফুল মোল্লা, মো. সোহেল চাঁন মোল্লা ও সৈকত শেখকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বাড়ী উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের মাঠপাড়া গ্রামে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহদাৎ হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জামাল কাজী গ্রুপের নেতা উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি নিজাম কাজীর মৃত্যুর খরব এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে উত্তেজিত লোকজন সাইফুল মোল্লা গ্রæপের প্রধান মো. সাইফুল মোল্লাসহ তার আরো দুই সমর্থকদের বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জামাল কাজী বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় বুধবার দুপুরে হত্যা মামলা দায়ের করে। এই হত্যা মামলায় প্রধান আসামী মোল্লা গ্রুপের প্রধান মো. সাইফুল মোল্লা, দুই নম্বর আসামী মো. সোহেল চাঁন মোল্লা ও তের নম্বর আসামী ও সৈকত শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পর বিকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এসেছে।