সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মানুষের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা, ভয় ও শঙ্কা কাজ করছে। এর অন্যতম কারন পুলিশের কাজের গতি না ফেরা।
এর আজ্ঞে, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গেই আত্মগোপনে চলে যান তখনকার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারসহ বাহিনীটির বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আতঙ্কে গা ঢাকা দেন থানাসহ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরাও। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের এক দিন আগেই নতুন আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়। বাহিনীতে গতি ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ফেরাতে উদ্দীপনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দীর্ঘ সময় পার হলেও আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি পুলিশ।
2.2 billion people in the world do not have access to clean water: UN
দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ঝুমুর গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে তাড়ানোর দাবি ভারতের এমপির
অবস্থার উন্নতির জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ আছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার (১৭ মার্চ) সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সাভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, সারা দেশের মাঠপর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা। পুলিশ সুপার ও তার উপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক হবে। বিভিন্ন মহানগর কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ক্রাইম টিমের সদস্যসহ ১২৭ জন শীর্ষ পুলিশ অফিসার বৈঠকে যোগ দেবেন। পুলিশের আইজিপি সেখানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। ৫ আগস্টের পর পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন। একই সঙ্গে পুলিশের মোরাল অ্যাকটিভিটিজ ফিরিয়ে আনার জন্য কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাও অবহিত করবেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া অপরাধ এবং ফ্যাক্ট নিয়ে কথা বলবেন আইজিপি। মাঠ পর্যায়ের ৬ জন শীর্ষ কর্মকর্তার ফোকাল পয়েন্টে সেখানে কথা বলবেন। তারা নিজদের সমস্যা, চ্যালেঞ্জ, ট্রাকিং বেইজড পুলিশিং, শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেও পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে। এটি বিশেষ সভা। এর আগে কখনো এ ধরনের সভা হয়নি।
উপ প্রেস-সচিব বলেন, পুলিশ সপ্তাহ যেটি হয় সেখানে সরকার পুলিশ প্রধানকে উদ্দেশ্য করে কিছু দিক নির্দেশনা দেয়। এবার পুলিশ সপ্তাহ হবে ২৯ এপ্রিল। এবার সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য রাখবেন এবং দিক নির্দেশনা দেবেন। তার আগে আগামীকালের সভায় পুলিশকে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।