কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) সহায়তার জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে সরকার। যার মাধ্যমে জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। এই ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণে সহায়তা পাবেন।
পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আহতদের সড়ক অবরোধ
গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু, বিক্ষোভ-ভাঙচুরে আহত ২০
Locals in Khulna's Deluti rebuild broken embankment in just 5 days
উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা এই তিন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা, যাদের জনবল পারিবারিক সদস্যসহ ১০ জনের বেশি নয়, তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। এই শ্রেণির উদ্যোক্তাদের টার্নওভারের শর্ত রাখা হয়নি। তবে তাদের জমি ও কারখানা ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সম্পদের মূল্য পাঁচ লাখ টাকার কম হতে হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেয়া হয়। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আমির উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিচালক নওশাদ মুস্তফা, সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ নীতিমালা চালু থাকবে এবং এর সাথে অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা’ নামের একটি নতুন শ্রেণিও যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশে এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
একইদিনে এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনা মতে, সিএমএসএমই খাতে মেয়াদি ঋণের পাঁচ বছরের স্থলে সর্বোচ্চ সাত বছর করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রকল্পভেদে যেমন কারখানা নির্মাণ ইত্যাদি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৬ থেকে ১২ মাস গ্রেস পিরিয়ড দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখাতে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়ক জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এখাতে সহায়ক জামানত ছাড়াকে পাঁচ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণ দেয়া ও নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্ক বিবেচনায় সহায়ক জামানত ছাড়াকে ২৫ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিন) নেই এমন ছোট ছোট উদ্যোক্তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ঋণ নিতে জামানতও লাগবে না। তারা অন্য ব্যবসা সংক্রান্ত সনদ দিয়ে এই ঋণ পাবেন। কোন উদ্যোক্তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন, নীতিমালায় তাও পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে।