আজ (১ নভেম্বর) থেকে পলিথিন ও পলিপ্রোপিলিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই ব্যাগ বাজারে ব্যবহার করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।
সম্প্রতি পরিবেশের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যদিও দীর্ঘদিন ধরে দেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে।
ফের ২৫ পয়সা কলরেটে ফিরছে সিটিসেল
লিটারপ্রতি ১৫-২০ টাকা কমানো সম্ভব জ্বালানি তেলের দাম
রাজধানীতে একক কোম্পানির মাধ্যমে ফের চালু হচ্ছে নগর পরিবহন: ডিটিসিএ
১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রোপিলিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ সুপারশপে এখন পলিথিনের পরিবর্তে পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই ব্যাগেই ক্রেতাদের পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কাঁচাবাজারে যাতে আর পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার না হয় সেজন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার নতুন কিছু নেই। এটি 2002 সাল থেকে আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পলিথিন উৎপাদনকারী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বাজারে কখনো অভিযান চালানো হয়নি। ফলে বাজারগুলো অন্যান্য স্থানে পলিথিন এনে পলিথিনে পণ্য সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ঢাকার সুপারশপে প্লাস্টিক ও পলিপ্রোপিলিন ব্যাগ আর ব্যবহার করা যাবে না। এটা সরকারের একক সিদ্ধান্ত নয়। সুপারশপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারশপ ছাড়াও আগামী ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ও পলিপ্রোপিলিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কার্যক্রম শুরু করব।আজকের মতো আলোচনা নয়, আইনের প্রয়োগ হবে। দোকানদার সমিতির নেতারাও আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এক মাসের মধ্যে তারা পলিথিনের পরিবর্তে পাট, কাপড় বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করবেন।
তিনি বলেন, পলিথিন বা পলিপ্রোপিলিন ব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আমরা ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপ এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে তা কার্যকর করতে যাচ্ছি। একই সঙ্গে ১ নভেম্বর থেকে যারা উৎপাদন করবে তাদের কার্যক্রম শুরু করব। পলিথিন সবাই পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে। আমরা বিকল্প প্রদানের জন্যও কাজ করছি।