পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রথমবারের মতো কলাপাতায় লবণ বিক্রি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়িবাড়ি বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শমসের আলী। তার অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
পরিবেশ রক্ষায় ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি হাট-বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করছেন।
গুগলের স্বপ্নের চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা সরওয়ার কামাল
ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
The interim government is expected to receive around $1 billion in budgetary support from the World Bank and the Asian Development Bank
তবে এখানে ব্যতিক্রম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শসের আলী। গত এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে তিনি কলা পাতায় মোড়ানো এক কেজি লবণের প্যাকেট তৈরি করে খড়িবাড়ি বাজারে প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। শমসের আলী ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদহ এলাকার বাসিন্দা।
খড়িবাড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজি লবণের প্যাকেট কলা পাতায় মুড়িয়ে দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। অনেকেই তার লবণের প্যাকেট ও কলা পাতায় মোড়ানো দোকানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
খড়িবাড়ি বাজারের খোলা বাজারে ১৫ বছর ধরে লবণ বিক্রি করে আসা সামসের আলী বলেন, "পত্রিকা ও টেলিভিশনের খবরে জানতে পেরেছি সরকার পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিক্রি শুরু করেছি। নিজের উদ্যোগে কলা পাতায় মোড়ানো এক কেজি লবণের প্যাকেট।
কলা পাতায় লবণ মাখানোর কারণে বিক্রি কমছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিক্রি কমেনি। তবে আমার উদ্যোগ দেখে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। আসলে পলিথিন খুবই ক্ষতিকর পণ্য। যাইহোক, এখনও অনেকে এটি ব্যবহার করে। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে পলিথিনের ব্যবহার কমবে।
খড়িবাড়ি বাজারের ক্রেতা নাজমুল হুদা ও কার্তিক চন্দ্র রায় জানান, অনেকদিন পর কলা পাতায় মোড়ানো লবণের প্যাকেট দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। ব্যাগে মুড়ে রাখলেও পড়বে না।
খড়িবাড়ী এলাকার সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, পরিবেশবান্ধব উপায়ে পণ্য বিক্রির দৃষ্টান্ত হিসেবে লবণ বিক্রেতা শমসের আলাভ খড়িবাড়ী বাজারে পলিথিনের পরিবর্তে কলা পাতায় লবণের প্যাকেট বিক্রি করছেন। তার অসাধারণ পদ্ধতি দেখে কলা পাতায় লবণ বিক্রি করছেন আরেক লবণ ব্যবসায়ী। সবাই মিলে এ পদ্ধতি বজায় রাখলে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমবে। তিনি আরও বলেন, কলার পাতা সহজলভ্য, প্রাকৃতিকভাবে জৈব-নিষ্কাশনযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব, যা পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
নওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও লেখক আবদুল হানিফ সরকার জানান, কলা পাতায় মোড়ানো লবণ ব্যবসায়ীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পছন্দ হয়েছে। এই অসাধারণ দৃশ্যটি 40 থেকে 45 বছরে সমস্ত ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে তা সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়। আজ হঠাৎ দেখি কলার পাতায় মোড়ানো লবণ পাটেক। এটা সত্যিই পরিবেশ বান্ধব. আসলে এতদিন আমরা জেনেশুনেই পলিথিন ব্যবহার করে আসছি। যেহেতু বর্তমান সরকার পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, আমাদের সবার উচিত পরিবেশ বান্ধব কলা পাতার পাশাপাশি শটি পাতা ও পাটজাত পণ্য ব্যবহার করা।