শীত মৌসুম শেষ হতে থাকায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ বাজারে কয়েকটি সবজির সরবরাহ কমেছে। এদিকে নতুন কিছু গ্রীষ্মকালীন সবজিও এসেছে বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, যে সবজিগুলোর সরবরাহ কমেছে সেগুলো দাম কিছুটা বাড়ছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
লিটারপ্রতি ১৫-২০ টাকা কমানো সম্ভব জ্বালানি তেলের দাম
By the end of 2023, Foodpanda Bangladesh's losses have exceeded Tk 1,000 crore
Coca-Cola is changing its business model to survive the boycott
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই তিনটি শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমেছে। যে কারণে সেসব পণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতিটি ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম আগের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শীতের অন্যতম জনপ্রিয় সবজি সিম ও বেগুনের দামও। তবে অন্যান্য সবজি আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে।
আজকের বাজারে প্রতি কেজি শিম মানভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এছাড়াও কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, শসা ৫০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা এবং মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে।
লাউ (পিস) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা এবং সাজনা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে।রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, বাজারে এখনও শীতের সবজি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে বেশকিছু সবজির দাম আজকে কিছুটা বেশি দেখতে পাচ্ছি। গত সপ্তাহেও বিচিওয়ালা সিম কিনেছি ৪০ টাকা কেজি, আজকে কিনতে হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। টমেটো আজকে নিয়েছি ৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহেও ছিল ২০-২৫ টাকায়। তবে দুয়েকটি সবজি ছাড়া সব ধরনের সবজির দামই কম।
তিনি আরও বলেন, দুই তিন মাস আগেও সবজির দাম খুবই চড়া ছিল। তখন আমি নিজেও হাফ কেজি, আড়াইশো গ্রাম করে সবজি কিনেছি। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম অনেক কম। তবে যেহেতু বাড়তে শুরু করেছে, মনে হচ্ছে রোজার আগেই আরও কিছু সবজির দাম বেড়ে যাবে।
শাহীনুল আলম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, শীতের শেষ দিকে এমনিতেই সবজির দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করে। তবে যেহেতু সামনে রমজান আসছে, সেসময়ে বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে সবজির দাম বেড়ে যেতে পারে। তাই রোজায় সবজির বাজার সহনশীল পর্যায়ে রাখতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
সবজি বিক্রেতা মো. রাসেল মিয়া বলেন, পুরো বছরের মধ্যে শীতের সময়টাতে সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকে। আবার আস্তেধীরে শীত চলে গেলে দামও বাড়তে থাকে। সেই হিসেবে এখনও বাজারে পর্যাপ্ত শীতের সবজি আছে, যে কারণে দামটাও সহনীয় আছে৷
তিনি বলেন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁয়াজপাতা বাজার থেকে অনেকটাই কমে গেছে। যে কারণে এগুলোর দামটাও একটু বেড়েছে। এছাড়া ঢেঁড়স, ধুন্দল, চিচিঙ্গাসহ গরমকালের কিছু সবজি আসছে, সেগুলোরও দামটা একটু বেশি।