আমলি জীবন মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। বান্দাদের ইবাদতের জন্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টি করেছেন। আর আমরা কীভাবে ইবাদত করবো, সেটা শিখি নবীজির থেকে।
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের ইবাদত শেষ রাতের ইবাদত। নবীজিও শেষ রাতের ইবাদতকে বেশি গুরুত্ব দিতেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠতেন এবং তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। (বুখারি, হাদিস: ১১২০)
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের শেষ প্রহরে ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়তেন। এ সময় তার বেশ কয়েকটি দোয়া পাঠের অভ্যাসের কথা বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা থেকে জানা যায়। এর মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ দোয়াটি হলো
আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আহইয়ানা বায়দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
অর্থ: সব প্রশংসা ওই আল্লাহ–তায়ালার জন্য, যিনি আমাদেরকে (ঘুমের মাধ্যমে) মৃত্যু দান করার পর পুনরায় জীবিত করেছেন এবং একমাত্র তার কাছেই আমাদের সবাইকে ফিরে যেতে হবে। (বুখারি, হাদিস: ৬,৩১২, ৬,৩১৪, ৭,৩৯৪)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়ে পড়লেন। রাত যখন অর্ধেক হয়ে গেল তার কিছু আগে বা পরে তিনি জাগলেন। এরপর বসে হাত দিয়ে তার মুখমণ্ডল থেকে ঘুমের আবেশ মুছতে লাগলেন। অতঃপর সুরা আলে ইমরানের শেষ দশটি আয়াত তিলাওয়াত করলেন। (বুখারি, হাদিস: ১৮৩)।
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে একটি রাত যাপন করলাম। যখন তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠলেন, তখন অজুর পানির কাছে গেলেন এবং মেসওয়াক নিয়ে মেসওয়াক করলেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫৮)।