ভারতের শিল্পজগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন ঘটলো। ভারতের সফল ব্যবসায়ী এবং টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসে এসেছে। ৮৬ বছর বছরে বয়সে এক বর্ণাঢ্য জীবনের ইতি ঘটলো। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বর্ষীয়ান এই শিল্পপতি। গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ খবর ছড়ায় রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এর কিছু পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, সেটা ভুল খবর। তিনি ঠিক আছেন। কিন্তু বুধবার আবার ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপরেই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
30810 people arrived in Saudi to perform Hajj
4 of the hostage ship Photos of the pirates are out in the open
প্রাণে বেঁচে গেলেন হিজবুল্লাহর যোগাযোগ ও সমন্বয় ইউনিটের প্রধান
তবে অনেকেই অবাক হবেন যে, ভারতের এই আইকনিক শিল্পপতির জীবন অনেকটাই একাকিত্বে কেটেছে। কারণ তিনি বিয়ে করেননি। তিনি কুকুর খুব ভালোবাসতেন। মুম্বাইয়ে টাটা গ্রুপের সদর দপ্তরে কুকুরদের জন্য একটি আলাদা ঘর আছে। বিভিন্ন সময় রতন টাটাকে কুকুরদের সঙ্গে খেলতে দেখা যেত।
রতন টাটা নিজেই একবার জানিয়েছিলেন কেন তিনি বিয়ে করেননি। বেঁচে থাকাকালীন তিনি জানিয়েছিলেন যে, চার বার বিয়ে হবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিয়ে প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো নানা কারণে বিয়ে করতে পারেননি তিনি।
এই শিল্পপতি জানিয়েছিলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময় তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। সে কারণে ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি।
এরপর আরও একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। অনেকেই মনে করেন ছোটবেলায় বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে। সে কারণেই শেষ পর্যন্ত তিনি আর বিয়ে করেননি।
এদিকে রতন টাটার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে রতন টাটার সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করে মোদী লিখেছেন,‘রতন টাটা ছিলেন একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী কর্ণধার, তার মন মমতায় পরিপূর্ণ ছিল এবং তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ মানুষ। ভারতের অন্যতম পুরোনো এবং অন্যতম সেরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।