গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় 'সুপার টাইফুন কং-রে' মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তাইওয়ান সরকার। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দ্বীপরাষ্ট্রটির পূর্ব উপকূলে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বিধ্বংসী ঝড়ো বাতাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা এই বিপজ্জনক ঝড়টি (ঘণ্টায় ১৮৬ মাইল) ইতোমধ্যে সুপার টাইফুনে পরিণত হয়েছে। তাইতুং কাউন্টিতে আঘাত হানার পূর্বে এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে ব্যাংকক পোস্ট।
তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়াবিষয়ক প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে তাইওয়ানের দক্ষিণ অঞ্চল অতিক্রম করবে এবং তারপর তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চীনের দিকে এগিয়ে যাবে। এটি তাইওয়ানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ের মাত্রায় উন্নীত হয়েছে, যা ১৯৯৬ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় আকারের টাইফুন হতে যাচ্ছে পারে।
Kangana Ranaut posts Hasina's letter to Trump with a bold 'Khela Hobe'
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় ৫ বাংলাদেশির জয়
যোদ্ধাদের প্রতিরোধ মানে ইসরায়েলের পরাজয় : খামেনি
তাইপে সিটি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারকে টাইফুনের কারণে ছুটি ঘোষণা করেছে এবং অর্থবিষয়ক বাজারও বন্ধ থাকবে। পূর্ব তাইওয়ানের পার্বত্য অঞ্চলে ১ দশমিক ২ মিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ধ্বংসাত্মক ঝড়ো বাতাসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-টে জনগণকে পাহাড় এবং উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সারা দ্বীপে প্রায় ৩৬ হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত রেখেছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ স্ট্যান চ্যাং বলেছেন, বছরের এই সময়ে তাইওয়ানের উপর সরাসরি আঘাত হানতে আসা এমন শক্তিশালী টাইফুন খুবই বিরল, কারণ প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ সাগরের তাপমাত্রা এবং উত্তর থেকে দেরিতে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণে পরিবেশটি এখনও টাইফুনের জন্য সহায়ক।