তেহরানে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ইরানের প্রতিক্রিয়া দেখার অপেক্ষায় ছিল বিশ্ব। সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে এবার ইসরায়েলে হামলা চালাতে যাচ্ছে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
একজন ইরানি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে তারা ইরানের সামরিক অবকাঠামোতে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার একটি "গুরুতর" এবং "অভূতপূর্ব" প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই হামলা চালাতে চায়।
Zuckerberg topped Musk in wealth for the first time since 2020
One Tech Tip: How to get around Instagram's new limits on political content
Bangladesh won the easy goal by making it difficult
যদিও এর আগে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন নির্বাচনের আগে ইরান এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে না। তবে অন্যান্য গণমাধ্যম বলছে, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে হামলা হতে পারে।
ইরান ১লা অক্টোবর ইসরায়েলে ১৮১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর জবাবে ২৬ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও ইরান প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল যে ইসরায়েলি হামলায় খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, হামলার তীব্রতা এবং চার সেনা নিহত হওয়ার পর আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বলেছেন যে ইসরায়েলকে অবশ্যই এই হামলার জবাব দিতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে 'পরাজয়কারী' হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান সরাসরি তার ভূখণ্ড থেকে হামলা না করে ইরাক থেকে হামলার পরিকল্পনা করছে। আর এই হামলায় শত শত ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হতে পারে। ইরান তার কৌশলের অংশ হিসেবে নিজের ভূখণ্ড থেকে সরাসরি হামলা চালাবে না। তারা বিশ্বাস করে, ইরাক থেকে হামলা হলে ইসরাইল সরাসরি ইরানের ওপর হামলা চালাবে না।
এদিকে, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেছেন যে তারা ইতিমধ্যে ইরানের বেশিরভাগ বিমান প্রতিরক্ষা ধ্বংস করেছে। এখন ইসরায়েলের হামলা ঠেকানোর ক্ষমতা ইরানের নেই।