ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
একজন ইরানি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে গত সপ্তাহে তার সামরিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলের হামলার "কঠোর" এবং "অভূতপূর্ব" প্রতিক্রিয়া হবে।
Social media ban for children under 14 years of age in the United States
হঠাৎ কেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে আনলেন ট্রাম্প?
Threat of attack on India-Pakistan match in World Cup
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনের আগে ইরান প্রতিশোধ নেবে না। তবে অন্যান্য গণমাধ্যম বলছে, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে হামলা হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইরান হামলা করতে পারে বলেও সিএনএন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বলেছেন যে ইসরায়েলকে অবশ্যই এই হামলার জবাব দিতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে 'পরাজয়কারী' হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে।
প্রসঙ্গত, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর 1 অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় 200টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ইসরায়েল তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির বেশিরভাগই ধ্বংস করার দাবি করে। নেতানিয়াহুর দেশও হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গোপন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার পর বলেছিলেন যে ইরান "একটি বড় ভুল করেছে" এবং "এর মাশুল দিতে হবে"।
নিজ দেশে হামলার জবাবে গত ২৬ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলি বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি প্রদেশে হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইরানের এই হামলা ঠেকানোর দাবি করেছে তারা। হামলার পর তাদের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও পরে ইরান হামলার তীব্রতা এবং চার সেনা নিহত হওয়ার কথা জানায়।
তবে নেতানিয়াহু হামলায় সাফল্য দাবি করে বলেছেন যে "সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে"। হামলার পর ইসরাইল হুঁশিয়ারি জারি করে বলেছে, ইরান আবার হামলা চালালে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে। আর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানকে আর হামলা না করার আহ্বান জানিয়েছে।