হিজবুল্লাহ ইসরাইলের হাইফা, ক্রাইয়ট ও সাফেদ শহরে দেড় শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে। সোমবার চালানো এসব হামলায় অন্তত ৭ জন ইসরাইলি আহত এবং বেশকিছু স্থাপনা ও বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরাইলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ইসরাইলি মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার হাইফা বন্দরে চালানো হিজবুল্লাহর এই হামলা ছিল ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম হামলা।
অন্যদিকে ক্রাইয়ট এলাকায় চালানো হিজবুল্লাহর সোমবারের হামলাকে যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্যতম শক্তিশালী হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আজ বিশ্ব ডিম দিবস
আগরতলায় বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলা, ভারতের দুঃখ প্রকাশ
গাজায় আরও ৩ ইসরাইলি সেনা নিহত
এদিন মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৯০টি রকেট হাইফা ও ক্রাইয়ট এলাকায় আঘাত হানে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার হাইফা ও ক্রাইয়ট অঞ্চলে প্রায় ৮০টি রকেট আঘাত হেনেছে। এছাড়া সাফেদ ও আশপাশের এলাকায় নতুন করে সতর্ক সাইরেন বাজানো হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে সোমবার সকাল থেকেই ইসরাইলের অধিকৃত গ্যালিলি অঞ্চলে ৫০টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ সোমবার লেবানন থেকে ইসরাইলে ১৭৫টিরও বেশি রকেট ছুঁড়েছে। এতে শিশুসহ ৭ জন আহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহর এই হামলার মাঝেই ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সা’র জানিয়েছেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতির দিকে ‘নিশ্চিত অগ্রগতি’ হয়েছে।
সা’র জানিয়েছেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চলছে এবং এতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে হিজবুল্লাহ আমাদের সীমান্তে ছেড়ে লিতানি নদীর উত্তরে অবস্থান করবে এবং তারা নতুন অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারবে না, তবেই আমরা এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হব’।
একই সময়ে হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ জানিয়েছেন, তারা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাননি।
তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন, মস্কো, তেহরান এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে এ নিয়ে যোগাযোগ চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত এটি প্রাথমিক আলোচনা এবং ধারণা উপস্থাপনের স্তরেই রয়েছে’।
এদিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়ানেট জানিয়েছে, ইসরাইল ও লেবানন মার্কিন প্রতিনিধি আমোস হকস্টেইনের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিয়ে খসড়া আদান-প্রদান করেছে। হকস্টেইন এ বিষয়ে আশাবাদী যে, উভয় পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি ও টাইমস অব ইসরাইল