মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বাজছে যুদ্ধের দামামা। গাজা ও লেবাননে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ও সাধারণ মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের এমন করুণ অবস্থার মধ্যে নীরব রয়েছে সৌদি আরব। তবে এবার সেই নীরবতা ভেঙে যুদ্ধ বন্ধ চেয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সোমবার (১১ নভেম্বর) আরব লীগ ও অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের যৌথ সম্মেলনের (ওআইসি) আগে তিনি এ দাবি জানান। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মুসলিম বিশ্বের সবার শত্রু একই: জুমার খুতবায় খামেনেয়ি
ইসরাইলের ৩ শহরে ১৭৫টি রকেট ছুঁড়ল হিজবুল্লাহ
আজ বিশ্ব ডিম দিবস
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদে আরব ও মুসলিম নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা ও লেবাননে তাদের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার আরব লীগ এবং অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) যৌথভাবে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনের আগে এক ভাষণে তিনি ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার নিন্দা জানান। তিনি ইসরায়েলকে আর কোনো আগ্রাসন না চালানোর জন্য আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে একইভাবে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গীতও গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গৃহীত পদক্ষেপগুলো দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টাকে হ্রাস করছে। শুধু ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, তার দেশ একটি অভূতপূর্ব সংকটে ভুগছে যা তার অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। কেননা ইসরায়েল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লেবানন একটি অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক এবং অস্তিত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যা তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ ইসরায়েলের হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যাকাণ্ডকে ‘সংগঠিত সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘টার্গেটেড কিলিং’-এর মতো প্রতারণামূলক বাক্যাংশ দিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৌশলে ফিলিস্তিনি অভিজাত এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নেতাদের একের পর এক বা ব্যাপকভাবে হত্যা করা হচ্চে। এটি অনাচার এবং সংগঠিত সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই নয়।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুও এই সম্মেলনে যোগ দেন।