একটি বয়সে পৌঁছানোর পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে হয় প্রতিটি মানুষকে। আর এখানেই প্রয়োজন হয় গভীর ভাবনার। বিয়ে এমন একটি বিষয়, যা আপনার জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। আপনার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে সঙ্গী নির্বাচন। আর এই সঙ্গীর সঙ্গেই জীবনের উত্থান-পতনের প্রতিটি মুহূর্ত কাটাতে হবে আপনাকে।
বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের সূক্ষ্মভাবে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয়। তবে আপনার সিদ্ধান্ত ছাড়াও মানসিকতা এবং পারিপার্শ্বিক কিছু বিষয় থাকে, যার ওপর নির্ভর করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কখন বুঝবেন বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত কিনা? এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ইমরান খানের, সমাবেশের প্রস্তুতি
ইউরোপে চরম ডানপন্থীদের উত্থানের নেপথ্য কাহিনী
Japan announces biggest wage hike in 33 years, central bank policy likely to change
আবেগ-অনুভূতি ও মানসিক পরিপক্কতা: বিয়ের ক্ষেত্রে সবার আগে মানসিক পরিপক্কতা বিবেচ্য বিষয়। মানসিকভাবে যদি আপনি নিজেকে যথেষ্ট মনে না করেন, তাহলে বিয়ের জন্য আরও সময় নিন। কেননা, একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই কার্যকর যোগাযোগের দক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব পরিচালনা করা জরুরি। একইভাবে সঙ্গীর প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের মানসিকতা থাকতে হবে। বৈবাহিক সম্পর্কে এসব খুবই জরুরি। আবার মানসিক স্থিরতা এবং অন্তর্নিহিত অস্থিরতা দমনেও আবেগ-অনুভূতি ও মানসিক পরিপক্কতা প্রয়োজন। তা না হলে সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা লেগেই থাকবে।
লক্ষ্য ও মূল্যবোধ শেয়ার করা: নিজের বিশ্বাস, মূল্যবোধ এবং জীবনের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্যতা বিয়ের ওপর নির্ভর করে। স্বামী-স্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য স্পষ্ট এবং সহজ-সাবলীল হওয়া উচিত। নিজেদের মধ্যকার সব বিষয় সামঞ্জস্য করা এবং ঐক্যও নিশ্চিত করতে হবে।
আর্থিক স্বাবলম্বী: বিয়েতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে আর্থিক অবস্থা। বিয়ের প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা থেকে বিয়ে পরবর্তী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ গুরুত্বপূর্ণ। আবার বিয়ে পরবর্তীতে দম্পতিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন হয়। এ জন্য অর্থের বিকল্প কিছু নেই। তাই সবার আগে বিয়ে নিয়ে বিচক্ষণতার সঙ্গে ভেবে আর্থিক বিষয় নিশ্চিত করে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রতিশ্রুতি হতে হবে অগ্রসরমান: বৈবাহিক সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী ও আনন্দময় করতে স্বামী-স্ত্রীর দু’জনেরই পৃথক ও সম্মিলিতভাবে প্রতিশ্রুতিকে বিকাশ এবং পরিপক্ক করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবসময় নিজেকে পরিপক্ক করার ভাবনা থাকতে হবে। সম্পর্ক মজবুত করতে দু’জনকেই ইতিবাচক মানসিকতারও বিকাশ করতে হবে।
সমর্থন: শক্তিশালী নেটওয়ার্ক বলতে যেমন পারিবারিক বন্ধন, বন্ধুত্ব ও সাম্প্রদায়িক সম্পৃক্ততা ইত্যাদি বিষয় ব্যাপক প্রভাব ফেলে বৈবাহিক সম্পর্কে। এসব মাধ্যমের সঙ্গে দম্পতিদের সংযোগ থাকতে হবে এবং এতে প্রয়োজনে পরামর্শ ও সহায়তা পাওয়া যায়।
আত্ম-সচেতনতা ও প্রতিফলন: নিজের ভুল-ভ্রান্তি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। সেই অনুযায়ী আবার নিজেকে মূল্যায়নও করতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা, শক্তি, দুর্বলতা ইত্যাদি দাম্পত্যজীবনে প্রভাব ফেলে। এ জন্য নিজের নেতিবাচক অভ্যাস বা বিষয় থাকলে তা পরিহার করে সংশোধন হতে হবে।