পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। রোববার (১৭ নভেম্বর) দেশটির কোশিমা অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) এর তথ্য অনুসারে, রোববার জাপানের কোশিমা অঞ্চলটি রিখটার স্কেলে ৬.২ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প কেঁপে ওঠে। স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৬ মিনিটে ভূপৃষ্ঠের ৭০.৬ কিলোমিটার (৪৩.৮ মাইল) মধ্যবর্তী গভীরতায় কেন্দ্রস্থলের নিচে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
সিনওয়ারের পর কে হবেন হামাসের পরবর্তী নেতা
অ্যাপাচি মটরসাইকেল না দেয়ায় নববধূকে পিটিয়ে হত্যা
For the first time restaurants are opening in space; Cost per person is 5.5 crores
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটি সম্ভবত কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অনেক লোক অনুভব করেছিল। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের যতগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। দেশটিতে প্রায় সময়ই ভূমিকম্প আঘাত হেনে থাকে। মূলত জাপান চারটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের ওপরে আছে এবং এই কারণে প্রতি বছর প্রায় দেড় হাজার ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত হেনে থাকে।
অবশ্য এসব কম্পনের বেশিরভাগই ছোটখাটো। এছাড়া উন্নত বিল্ডিং কৌশল এবং ভালোভাবে অনুশীলন করা জরুরি পদ্ধতির কারণে বড় কম্পনের পরেও জাপানে সেটির প্রভাব সাধারণত বেশ কমই থাকে।
উল্লেখ্য, ভূগর্ভস্থ ‘আগ্নেয় মেখলা’ (রিং অব ফায়ার) টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থানের কারণে জাপানে প্রায় প্রতিদিনই গড়ে ১০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর আগে, ২০১১ সালের মার্চে জাপানে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।
ভয়াবহ সেই ভূমিকম্প ও তার ফলে সৃষ্ট সুনামিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ মানুষের।