সামরিক বাহিনী দিয়ে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি করার পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বতর্মান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মেক্সিকোর সীমান্ত পেরিয়ে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে অনেক আগে থেকে চটে ছিলেন ট্রাম্প। সীমান্ত পেরোনো ঠেকাতে নিজের প্রথম মেয়াদে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের কাজও শুরু করেছিলেন। এবারের নির্বাচনে তার অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করা।
‘ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করুন’
Google turns to nuclear to power AI data centres
Kusumba Shahi Mosque of Sultanate period is unique in history and tradition
ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে রক্ষণশীল একজন অধিকারকর্মী লিখেছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার প্রকল্পে বাইডেন হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তা আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প। পরে ওই পোস্ট শেয়ার করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সত্যি।’
সরকারি তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা অন্তত ২ কোটি পরিবারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে শপথ গ্রহণ করবেন। তার আগেই নতুন প্রশাসন সাজানোর কাজে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিবাসন বিষয়ে কট্টরপন্থি টম হোম্যানকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছেন। এছাড়া সোমবার ট্রাম্প তার পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সাবেক প্রতিনিধি ও ফক্স বিজনেস নিউজের সঞ্চালক শন ডাফিকে মনোনীত করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে শন ডাফি যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ, গাড়ি, রেল, ট্রানজিট ও অন্যান্য পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয় দেখভালের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ট্রাম্প সরকারের সব বড় অবকাঠামো নির্মাণ, হালনাগাদকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন ডাফি।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর মার্কিন জনগণের উদ্দেশে শন ডাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘আপনাদেরকে আমি পরিবহণ খাতের সোনালি যুগে নিয়ে যেতে খুবই আগ্রহী।’ তবে বিশ্লেষকদের মতে, ডাফির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর উচ্চহার কমিয়ে ফেলা।