Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

সিরিয়ায় দূতাবাস চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল তুরস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:২২ এএম
Bangla Today News

সিরিয়ায় দূতাবাস ফের চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তুরস্ক। সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দামেস্কে তুর্কি দূতাবাসের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করবেন কর্মকর্তারা।

আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান দামেস্কে দূতাবাস চালুর বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দূতাবাসের কর্মীদের একটি দল দামেস্কে যাচ্ছেন। তারা পথে রয়েছেন। শনিবার থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে। 

ফিদান বলেন, তুরস্ক রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে রক্তহীন পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার এখন একটি সার্বভৌম জাতীয় সরকার রয়েছে। যারা তার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম এবং এই সরকার পিকেকে বা ওয়াইপিজির মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেবে না। বা অন্য কোনো শক্তিকে তার মাটিতে প্রশ্রয় দেবে না।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সিরিয়ায় দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ ও বাশার আল আসাদ সরকারের পতন নিয়ে কথা বলেছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। কাতারের দোহা ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা এবং প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সিরিয়ার জন্য কী করেছেন তা তুলে ধরেন। 

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ এক নতুন সিরিয়াকে দেখছি। সরকার ভেঙে পড়েছে এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ অন্যদের হাতে। অবশ্যই, এটি একদিনে ঘটেনি। গেল ১৩ বছর ধরে দেশটি অশান্ত ছিল।

তিনি বলেন, এই মূল্যবান সময় সরকার নিজের জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার জন্য ব্যবহার করতে পারত। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ কাজে লাগায়নি। যখন সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো, তখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিজেই সরকারকে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি স্থাপনের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটিও প্রত্যাখ্যাত হয়।

হাকান ফিদান বলেন, আসাদ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের প্রয়োজন মেটানোর মতো সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। তারা মৌলিক সেবাগুলোও দিতে ব্যর্থ হয়। অর্ধেক জনসংখ্যা নিজ দেশেই বা দেশের বাইরে বাস্তুচ্যুত। এতে অভিবাসনের ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করেছে। সরকার টিকে থাকার জন্য মাদক বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করছিল।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে, সিরিয়া এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে সিরিয়ানরা নিজ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আজ আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সিরিয়ার জনগণ একা এটি করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সাহায্য করতে হবে। সিরিয়া জাতীয় ঐক্য, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং জনগণের কল্যাণকে অনেক গুরুত্ব দেয়।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রশাসনকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তির নীতি থেকে কখনো সরে আসা যাবে না। প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা থাকা উচিত নয়। এখন সময় একত্রিত হওয়ার এবং দেশ পুনর্গঠনের।

Leave a comment