দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না বলে জানিয়েছেন সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এমনকি রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ারও কোনো ইচ্ছা ছিল না বলে জানান এই নেতা। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদের সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলে সোমবার এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, এর মধ্য দিয়ে দামেস্কে আসাদ সরকারের পতনের পর এই প্রথম মন্তব্য পাওয়া গেল সাবেক প্রেসিডেন্টের। দামেস্কে সরকার পতনের ৮ দিন পর তিনি ওই সময় নিয়ে কথা বলেছেন।
Kusumba Shahi Mosque of Sultanate period is unique in history and tradition
মালয়েশিয়ায় বাধ্য শ্রমের অভিযোগ: বাংলাদেশি শ্রমিকদের মামলা করার অনুমতি
ইলন মাস্ককে টপকে বিশ্বের ধনী পরিবার ওয়ালটন
তবে এসব কথা বাশার আল-আসাদের কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা ওই টেলিগ্রাম চ্যানেল এখন কারা পরিচালনা করেন, তা জানা যায়নি।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া বিবৃতিতে বাশার আল-আসাদ জানান, সিরিয়ার রাজধানী বিদ্রোহীদের হাতে চলে যাওয়ায় তিনি লাতাকিয়া প্রদেশে একটি রাশিয়ান সামরিক ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি যুদ্ধের কার্যক্রম তদারকি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেখতে পান, সেনারা লড়াই থেকে সরে যাচ্ছেন।
এরপর রাশিয়া কীভাবে গেলেন, সে ব্যাপারে সাবেক প্রেসিডেন্ট জানান, হেইমিম বিমানঘাঁটিও ড্রোন হামলায় পড়ে এবং রাশিয়ানরা তাঁকে মস্কোর বিমানে উঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই বিবৃতি ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রকাশ করা হয়।
এতে বাশার আল-আসাদের ভাষ্য, ‘ঘাঁটি ছাড়ার কোনো কার্যকর উপায় না থাকায় মস্কো অনুরোধ করেছিল, যাতে ঘাঁটির কমান্ড ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অবিলম্বে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এটি দামেস্কসহ চূড়ান্ত সামরিক অবস্থানের পতন এবং এর ফলে অবশিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরের ঘটনা।
পদত্যাগ কিংবা দেশ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাশারের বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘এসব ঘটনার সময় কখনোই আমি পদত্যাগ বা আশ্রয় চাওয়ার কথা ভাবিনি, বা কোনো ব্যক্তি বা দল থেকে আমাকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসের কবলে পড়ে এবং তা ঠেকাতে অবদান রাখার ক্ষমতা হারিয়ে যায়, তখন যে কোনো সিদ্ধান্তই উদ্দেশ্যহীন।’
৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের অব্যাহত আক্রমণে মুখে দামেস্ক থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। বিদ্রোহীদের দামেস্ক দখলের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে বাশার আল আসাদের দুই যুগের শাসনামলের। এরপর একের পর এক এলাকা দখল নিতে শুরু করে বিদ্রোহীরা।