Dhaka, শুক্রবার, এপ্রিল ১১, ২০২৫

ভারতের সঙ্গে বিরোধেই কি জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
Bangla Today News

নিজ দলের ভেতরে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানী অটোয়ায় বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতের সঙ্গে বিরোধের জেরেই ট্রুডোর এমন পরিণতি।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, নিজের দল লিবারেল পার্টির মধ্যে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগকে ব্যবহার করে কানাডার অর্থনীতির পতন এবং ক্রমবর্ধমান সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

এনডিটিভি জানায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে খালিস্তানপন্থী বিদ্রোহী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর থেকে নয়াদিল্লি ও অটোয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কানাডায় একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন নিজ্জর। ভারত এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

তবে ট্রুডোর দাবি, ভারত অপরাধমূলক কার্যকলাপকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। তিনি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তীব্র সমালোচনা করেছে।

পরবর্তীতে, ভারত ছয় কানাডিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং নিজ্জার মামলায় ভারতীয় কর্মকর্তাদের ‘আগ্রহের ব্যক্তি’ হিসেবে কানাডা জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করার পরে অটোয়ায় তার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আনে। টরন্টোর কাছে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলাসহ কানাডায় খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও উত্তেজিত করে তোলে।

ভারত তাদের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নিজ্জর হত্যার সঙ্গে যেকোনো যোগসূত্র প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ট্রুডোর প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লাভের জন্য খালিস্তানি সহানুভূতিশীলদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে বৈঠকসহ একাধিক মতবিনিময় সত্ত্বেও কানাডা এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনো অকাট্য প্রমাণ দিতে পারেনি।

বিশ্লেষকদের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অভিযোগ কানাডার খালিস্তানি ভোটারদের প্রভাবিত করার একটি কৌশল। তবে এটি উল্টো ফল বয়ে এনেছে। কারণ, অনেক কানাডিয়ান এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

Leave a comment