ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত বা কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।
একটি সূত্র বলেছে, “আমরা চুক্তির খুব কাছে। বড় অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে। যদি চুক্তি চূড়ান্ত হয় তাহলে আগামী রোববার থেকে এটি কার্যকর হতে পারে।”
Xiaomi launches its first electric car, the SU7
New record in gold prices
২৮ বছরে প্রথমবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ
সিএনএন জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় এ মুহূর্তে চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। হামাস ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা চুক্তিতে সম্মত হলে এটি অনুমোদনের জন্য দখলদার ইসরায়েলের মন্ত্রীসভায় যাবে। সেখানে অল্প কয়েকজনের সমর্থন পেলেই এটি অনুমোদন পাবে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে। অপরদিকে দখলদার ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে। যার মধ্যে থাকবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ফিলিস্তিনিরাও। যেহেতু ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিষয়টি আছে তাই তাদের মুক্তির ব্যাপারে দখলদার ইসরায়েলের সুপ্রিমকোর্টের রায় দিতে হবে। এর আগে তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি মন্ত্রীসভা ও সুপ্রিমকোর্টে সহজেই এটির অনুমোদন পাওয়া যাবে।
ইসরায়েলি কয়েকটি সূত্র ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, হামাসের বর্তমান প্রধান নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ার চুক্তির ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছ থেকে চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামাস এখনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। পরবর্তীতে হামাসের এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, তারা এখনো লিখিত জবাব দেননি।
কিন্তু এক আরব কূটনীতিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল চুক্তির খুব কাছাকাছি আছে। তিনি বিষয়টিকে ‘সুপার ক্লোজ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।