মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটক কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে। তিনি আরও জানান, আমি চাই এই সামাজিক জনপ্রিয় অ্যাপটি কেনার জন্য একটি বিডিং যুদ্ধ বা প্রতিযোগিতা হোক। এই মুহূর্তে টিকটক কিনতে কেউ আগ্রহী আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, আমি বলব হ্যাঁ, টিকটক কেনার বিষয়ে বেশ কয়েকটি কোম্পানির আগ্রহ রয়েছে।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন তিনি টিকটক কেনার বিষয়ে বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছেন এবং অ্যাপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস
৭০টি বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
AUSTRALIA LIKELY TO BAN SOCIAL MEDIA USE FOR THOSE UNDER 16
এবার ফ্লোরিডায় রিপাবলিকানদের এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, আমরা দেখব কী ঘটে। এটি কিনতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদি আমরা ব্যবহারকারীদের এই প্ল্যাটফর্মটির কর্মসংস্থান রক্ষা করতে পারি এবং চীনের প্রভাবমুক্ত রাখতে পারি, তবে সেটি হবে সেরা ফলাফল।
বাইডেন সরকারের সময় থেকেই জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় চীনা মালিকানাধীন কোম্পানি বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বিক্রির জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো ২০২০ সালে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায়, বাইটড্যান্স মাইক্রোসফটের সঙ্গে বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করে।
যদিও মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, এ মুহূর্তে আমাদের জানানোর মতো কিছু নেই। অন্যদিকে বিবিসি টিকটকের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও টিকটকের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই টিকটক কেনার জন্য আগ্রহী। ইচ্ছুক ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন ব্যবসায়ী ফ্রাঙ্ক ম্যাককোর্ট এবং কানাডিয়ান বিনিয়োগকারী কেভিন ও'লিয়ারি। এছাড়া, ইউটিউবের অন্যতম শীর্ষ তারকা জিমি ডোনাল্ডসন (মিস্টার বিস্ট) জানিয়েছিলেন, ক্রেতার দৌড়ে তিনিও রয়েছেন।
সম্প্রতি মার্কিন আদালত টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য অ্যাপটি চালু রাখার সুযোগ করে দেয়।