যুক্তরাষ্ট্রে মধ্য আকাশে হেলিকপ্টার এবং যাত্রীবাহী বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিফিংয়ে তিনি বারাক ওবামা এবং জো বাইডেন সমর্থিত ডাইভার্সিটিকে বিমান নিরাপত্তার মান কমানোর জন্য দায়ী করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, বুধবার রাতে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
কারণ জানা না গেলেও এই দুর্ঘটনার জন্য তিনি তার পূর্বসূরিদের জাতি বা লিঙ্গভিত্তিক অগ্রাধিকারের ডাইভার্সিটি উদ্যোগকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের জন্য যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে, তারা সবসময় যে যোগ্য লোক তা কিন্তু নয়।
The people of Western Sudan are eating grass and nut shells in pain of hunger
৬৪ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ
4 of the hostage ship Photos of the pirates are out in the open
ট্রাম্পের অভিযোগ, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের আমলে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র্য আনা হয়েছিল, তাতেই বিমান চলাচলে নিরাপত্তার মান কমেছে। আর সেটিই এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার কারণ। এই দুর্ঘটনায় ৬৭ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, আমি নিরাপত্তাকে সবার ওপরে রাখি। কিন্তু বারাক ওবামা, জো বাইডেন আরও বেশি শ্বেতাঙ্গ নিয়োগ দিতে চেয়েছেন। ডেমোক্র্যাটরা এই নীতিকে প্রথমে রাখে। কিন্তু আমরা সবসময় যোগ্য লোকদের চাই।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ব্রিফিং শুরুর আগে ওয়াশিংটনের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। তিনি আরও বলেন, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ক্রিস রোচেলোকে ঘটনা তদন্তে নিয়োগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওয়াশিংটন রিগ্যান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর সামরিক হেলিকপ্টারটিতে ৩ জন সৈন্য ছিলেন।