বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই তহবিল থেকে শুধুমাত্র স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের স্টার্টআপ কানেক্ট সেশনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গভর্নর জানান, এ বিষয়ে শিগগিরই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সোমবার (৭ এপ্রিল) চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘এমপাওয়ারিং ইনোভেশন কানেক্টিং অপরচ্যুনিটি’ শিরোনামে স্টার্টআপ কানেক্ট সেশনের মাধ্যমে ৪ দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এই সেশনে দেশি-বিদেশি তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তানভীর আলী বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনা তুলে ধরেন। প্রবন্ধে বলা হয়, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে উদ্ভাবনী স্টার্টআপ উদ্যোগের চাহিদা বাড়ছে। তবে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় দেশে এখনো এই খাতে বিনিয়োগ কম।

সেশনে আহসান এইচ মনসুর বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, তার অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।

এ সময় নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পাওয়াসহ সরকারি লালফিতার দৌরাত্ম্য বেশি। প্রতিবছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

তিনি আরও বলেন, ৪০টি দেশের ৫ শতাধিক বিদেশি বিনিয়োগকারী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এসব বিনিয়োগকারীকে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরিয়ে দেখানো হবে।

বিডার চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে উদ্ভাবনী উদ্যোক্তার অভাব নেই। তিনি বলেন, স্টার্টআপ তহবিলের সংকটে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। এ কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল গঠন করতে যাচ্ছে।