হজ মৌসুমকে সামনে রেখে সৌদি আরব বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য সাময়িকভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা ওমরাহ, ব্যবসায়িক এবং পারিবারিক ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে তুলে নেওয়া হতে পারে।
বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে। যেসব দেশের নাগরিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেন।
At least 21 killed in suicide bombings in Afghanistan
গাজার ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের ভয়ংকর তথ্য: ফেঁসে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাঁচ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ এবং অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
পাকিস্তানের কূটনৈতিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, সৌদি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটিকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি, পাকিস্তানি ওমরাহ ভিসাধারীদের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু যাত্রী দীর্ঘমেয়াদি ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করে অনুমতি ছাড়াই হজে অংশ নেন, আবার কেউ কেউ হজ শেষে দেশে না ফিরে অবৈধভাবে অবস্থান করেন। এতে করে অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে, যেসব নাগরিকরা ওমরাহ, ব্যবসায়িক বা পারিবারিক ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। তবে, হজ ভিসা এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে, সৌদি আরবে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরবে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।