Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

হিন্দুদের আমরা দেখবো, ভারতীয় পার্লামেন্টে আলোচনা কেন: চরমোনাই পীর

সিয়াম ইসলাম

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:০৫ এএম
Bangla Today News

বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ নিয়ে ভারতের পার্লামেন্টে আলোচনা হবে কেন? আমরা কী স্বাধীন দেশের নাগরিক নয়? হিন্দুরা এ দেশের নাগরিক, তাদের ভালোমন্দ আমরা দেখব। এটা নিয়ে অন্য দেশে আলোচনা হবে কেন?’

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) চরমোনাই মাহফিল ময়দানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শ‌নিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।
 
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশের এ পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে আওয়াজ তুললে বাতিল পালাতে বাধ্য হবে।’

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাহাবাদের অনুসরণ। রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস ছাড়া বিজয় সম্ভব নয়। বিজয় অর্জন করতে হলে অবশ্যই সাহাবাদের অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার রাসুলকে যেই নীতি ও আদর্শ নিয়ে পাঠিয়েছেন সেই নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনি যদি এই নীতি আদর্শকে বিশ্বাস করেন, তবে আপনার সন্তানকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

গণজমায়েতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘যারা দখলবাজি করছে এরা আধা পাগল। এদের চিকিৎসার জন্য একটি মেন্টাল হসপিটাল তৈরি করা জরুরি। তবে এসব রাজনীতিবিদরা সুস্থ হলে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।’
 
দলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘একটি সরকার পরিবর্তন করা সহজ হলেও আদর্শ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা তত সহজ নয়। এ জন্য আদর্শবান ও চরিত্রবান প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য আমরা মেধাবীদেরকে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আনতে বদ্ধপরিকর।’

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে গণজমায়েতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নেছার উদ্দীনসহ অনেকে। 

Leave a comment