Dhaka, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শফিকের মরদেহ ৫৯ দিন পর কবর থেকে উত্তোলণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:১২ এএম
Bangla Today News

শেরপুরের নকলায় দাফনের ৫৯ দিন পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত পোশাক শ্রমিক শফিক মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়ের চিথলিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে মরদেহটি উত্তোলণ করা হয়।

এসময় শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল হালিম, মালার তদন্ত কর্মকর্তা
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার সহকারি পরিদর্শক (এসআই) উলিয়ার রহমান, নকলা থানার সহকারি পরিদর্শক (এসআই) আশরাউল আলমসহ নকলা থানার পুলিশ সদস্য, নিহতের পরিবারের সদস্য, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিক, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণির স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত শফিক মিয়া চিথলিয়া গ্রামের দরিদ্র মৎস্যজীবী জুলহাস মিয়ার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের মধ্যে মেঝো সন্তান ছিলেন। সে বিবাহিত ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। শফিক মিয়া নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

তথ্য মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগষ্ট (রবিবার) বিকেল ৪ টার দিকে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর সেনপাড়া নামক স্থানে পুলিশের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যান। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে শফিকের মরদেহ এনে ৫ আগষ্ট (সোমবার) চিথলিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।

পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট (শুক্রবার) নিহত শফিকের চাচাতো ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্তত ১৩৫ জনকে আসামী করে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা (যার নং-১৫) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) নারায়নগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিক মিয়ার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে কবর থেকে শফিকের মরদেহ উত্তোলণ করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের ওই নির্দেশ মোতাবেক দাফনের ৫৯ দিন পরে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কবর থেকে শফিক মিয়ার মরদেহ উত্তোলণ করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়।
 

Leave a comment