মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সুজানগর আইডিয়াল মাদ্রাসায় পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা জোনে প্রথম নেট মিটার বসানো হয়েছে। এসব মিটারের মাধ্যমে উৎপাদিত উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সরকারের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোলার থেকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এখানে মাদ্রাসার চাহিদার বেশি সৌরবিদ্যুৎ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নেট মিটারের মাধ্যমে সরকারি লাইনের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে। মাদ্রাসা বন্ধ হলে বিদ্যুৎও যাবে জাতীয় গ্রিডে। আবার রাত ও দিনে যখন সূর্যের আলো থাকে না, তখন জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের মাধ্যমে মাদ্রাসার সব কার্যক্রম চলবে।
ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা ও দখল চেষ্টা: সেনা পরিবারের সদস্যকে গুলি করে হত্যার হুমকি পুলিশের!
আদম ব্যবসায়ী শামীম কর্তৃক ধর্ষনে প্রবাস ফেরত ফাতেমা গর্ভবতী, শামীম গ্রেফতার।
শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই কবে পৌঁছাতে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা
সুজানগর আইডিয়াল মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও এ প্লান্টের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল কুদ্দুস বলেন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় আমাদের মাদ্রাসা থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করা হবে। আবার যদি দেখা যায় সারা বছরে জাতীয় গ্রিড থেকে আমরা যত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছি তার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করেছি, তাহলে সরকার আমাদের বিদ্যুতের দাম দেবে। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেছি।
তিনি বলেন, এমনই একটি চারা তৈরি করেছেন আমার ভাগ্নে। আমি তার দ্বারা এই কাজটি করতে অনুপ্রাণিত। এখান থেকে প্রতিদিন ১৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। কখনো কখনো কম বা বেশি হতে পারে। সূর্যের আলো থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর এই বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। কার্বন নিঃসরণ কমায়। প্ল্যান্ট নির্মাণে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন ও মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম এবিএম মিজানুর রহমান আমাদের সহযোগিতা করেন।
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রামে সবসময় বিদ্যুতের সমস্যা থাকে। বিশেষ করে রাতে গরমের সময় আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমাদের কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের পরামর্শে কাজ শুরু করি।
তিনি বলেন, এই প্ল্যান্ট তৈরিতে আমাদের প্রথম পর্যায়ে খরচ হয়েছে ৬ লাখ টাকা। দ্বিতীয় দফায় আরও সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা চৌধুরী বলেন, গ্রাহকরা সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন এবং নিজেদের চাহিদা মেটাতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিক্রি করবেন। এতে উৎসাহিত হচ্ছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। যাতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের চাপ কম থাকে।
তিনি বলেন, যারা এটা করতে চায় তাদের আমরা নেট মিটার দিই। যদি তারা তাদের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে এবং জাতীয় গ্রিডে ফিড করে তবে আমরা তাদের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অর্থ প্রদান করব। আর আপনি যদি আমাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাহলে সেই আলোর জন্য টাকা দেবেন। এটা দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে বড় শিল্পে।