কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে বাড়ির পাশের কাচাকাটা দাখিল মাদ্রাসা মসজিদে ফজরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পূজাকের নাম আশার উদ্দিন। সে উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত গুল মোহাম্মদের ছেলে।
এবার বরখাস্ত সেই ঊর্মির বিরুদ্ধে কথা বললেন তার মা
অসুস্থ খালেদা জিয়া, স্থগিত হলো মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে আমাকে রাখা হয়েছে, আদালতে পলক
আছার উদ্দিনের চাচাতো ভাই নুরুন্নবী সরকার জানান, শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ির পাশের কাচাকাটা দাখিল মাদ্রাসা মসজিদে যান তিনি। মসজিদে নামাজ পড়ার সময় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি ছয় সন্তান ও স্ত্রী রেখে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আশার উদ্দিন অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার আয়ে সংসার চলত। তার মৃত্যুতে পরিবার অথৈ সাগরে নেমে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আছার উদ্দিন ভালো মানুষ ছিলেন, প্রতিবাদীও ছিলেন। তিনি নামাজ পড়েননি। তিনি সর্বদা দুজনের পথ অনুসরণ করতেন। নামাজরত অবস্থায় মসজিদের ভেতরে মৃত্যু সবার ভাগ্যে জোটে না।
স্থানীয় সমাজসেবক আনিচুর রহমান বেপারী বলেন, আশার উদ্দিন আমার আত্মীয়। কাচাকাটা বাসস্ট্যান্ড মসজিদে আমরা প্রতিদিন একসঙ্গে ফজরের নামাজ পড়ি। আজ তিনি দাখিল মাদ্রাসা মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার আগেই আযান এলো যে আছর উদ্দিন মসজিদে মারা গেছেন। সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার পরিবার খুবই দরিদ্র। তিনি তার পরিবারের প্রতি সদয় লোকদের সমর্থন কামনা করেছেন।
ইসলামী চিন্তাবিদ গোলেরহাট ফাজিল (বিএ) মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ উদ্দিন বলেন, সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। কার মৃত্যু কখন কোথায় আল্লাহ লিখে রেখেছেন কেউ জানে না। তবে শুক্রবার ফজরের নামাজ পড়ার সময় আসর উদ্দিনের মৃত্যু হয়। আমার মনে হয় তার ভাগ্য ভালো, সবাই এভাবে মরে না। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।