ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থেকে মুক্তি এবং স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আজ ( ২১অক্টোবর ) সকাল ১১ টা থেকে রাজধানীর নীলক্ষেত-সাইন্সল্যাব এলাকায় অবরোধ কর্মসূচী পালন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ধরনের শোষণ-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন তাঁরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ( ঢাবির ) অধীনে করা হলেও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বিভিন্ন জটিলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এবার সিলেট যাচ্ছেন আজহারী
Bangladesh calls for urgent action to solve the Rohingya crisis
বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তন্মধ্যে ক্লাসরুম সংকট, শিক্ষক সংকট, নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার না থাকা,তীব্র সেশনজট সহ বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখযোগ্য। একাডেমিক নানা সমস্যা গুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসলেও তার কোনো সমাধান তাঁরা পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা "অধিভুক্তি না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি;ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক,সাত কলেজ মুক্তি পাক; শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য,মানি না মানবো না;আর নয় দাসত্ব,হতে চাই স্বতন্ত্র ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়, দাবি গুলো হলো-
১) সাত কলেজকে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
২) কমিশনটি সকলের সমন্বয়ে অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কাঠামো তৈরি এবং রাষ্ট্র্রপতি কর্তৃক আইনের মাধ্যমে চূড়ান্ত ঘোষণা করতে হবে।
৩) সংস্কার কমিটি এবং ঢাবি প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বর্তমান অধ্যয়নরত ( নিয়মিত )শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে কাজ করে যেতে হবে।
উল্লেখ্য যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাতটি কলেজকে গতানুগতিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্ত কলেজ সাতটি হলো- সরকারি বাঙলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ।