Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

হঠাৎ কেন আলোচনায় ‘কমলার বনবাস’ সিনেমা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৩২ এএম
Bangla Today News

ঢালিউডের জনপ্রিয় ফোক ফিল্ম ‘কমলার বনবাস’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ফিরোজ আল মামুন। নব্বইয়ের দশকের একই নামে ঢাকা ও কলকাতায় দুটি সিনেমা দর্শকের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। মুক্তির প্রায় তিন দশক পর হঠাৎ ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে ছবির পোস্টার শেয়ার করছেন অনেকে; কেউ কেউ ফেসবুক পোস্টে ছবির নাম লিখেছেন।

টিভির প্রিয় মুখ বিজরী বরকতউল্লাহসহ আরও অনেকে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কমলার বনবাস’; সঙ্গে দুঃখের ইমোজিজুড়ে দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে দেখা গেছে, ফেসবুকে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশিবার ‘কমলার বনবাস’ শব্দটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ফেসবুকে ‘কমলার বনবাস’ নামটি ‘পপুলার নাউ’ হিসেবে দেখাচ্ছে। শুধু সিনেমা নয়, কমলার বনবাস নিয়ে বহু যাত্রাপালাও হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের দর্শকের মাঝে কমলা চরিত্রটি তুমুল জনপ্রিয়।

এদিকে তরুণ গায়ক অয়ন চাকলাদার লিখেছেন, ‘তোমরা দেখো গো আসিয়া, কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া।’

ঢাকায় ‘কমলার বনবাস’ নির্মাণ করেছেন ফিরোজ আল মামুন। এতে আনোয়ার শরীফ, রেবেকা, নাসির খানসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন। কলকাতায় একই নামে আরেকটি ছবি নির্মাণ করেছেন পরিচালক স্বপন সাহা। এতে তাপস পাল, শতাব্দী রায়সহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।

সিনেমাটির সংক্ষিপ্ত কাহিনি : কমলা হচ্ছে রাজা সাঁচি ও তার স্ত্রী চিত্রার একমাত্র কন্যা। কমলা একদিন সখিদের সঙ্গে প্রমোদভ্রমণে বের হয়, সেখানে কমলাকে দেখে রাজপুত্র কাঞ্চন কুমারের ভালো লেগে যায়। এরপর কমলা ও কাঞ্চন কুমার দুজনেই প্রেমে পড়েন। দুই পরিবারের সম্মতিতে কাঞ্চন ও কমলার বিয়ে হয়। বাসর রাতে একজন তপস্বী চামুণ্ডা তান্ত্রিক কাঞ্চন কুমারের সামনে প্রকট হন। তিনি তাকে নীল সরোবরের কাছ থেকে নীলপদ্ম আনতে বলেন, যা তার পিতা ভগবান ভোলানাথের কাছে মানত করেছিলেন। কাঞ্চন কুমার তার পিতার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে বাসর রাতেই নীল পদ্মার সন্ধানে রওনা হন। যাত্রাপথেই কাঞ্চন কুমার অস্বস্তি বোধ করেন এবং তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে চান।

সকালে কাঞ্চনের মা তার পুত্রবধূর অবস্থা দেখে বুঝতে পারেন রাতে তার ঘরে কোনো পুরুষ ছিল। কমলাকে তার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু জল্লাদের দয়ায় কমলা প্রাণে বেঁচে বনে পালিয়ে যান। কিছুদিন পরেই তিনি বুঝতে পারেন, তিনি গর্ভবতী। তিনি মানিক কুমার নামে একটি পুত্রের জন্ম দেন। কিন্তু তার ছেলে অন্য এক মহিলার সাথে বিনিময় করে, একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেয়। একদিন কমলা তার ছেলেকে খুঁজে পান, তিনি তার ছেলেকে ফেরত পাওয়া দাবি করলেন।

অবশেষে কমলা তার ছেলেকে ফিরে পান। অন্যদিকে, কাঞ্চন কুমার নীলপদ্ম নিয়ে তার সাম্রাজ্যে ফিরে আসেন এবং জানতে পারেন, যে তার স্ত্রী আর প্রাসাদে নেই। তিনি তৎক্ষণাৎ স্ত্রীর খোঁজে বের হন এবং অনেক দিন ধরে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে স্ত্রী ও সন্তানের সন্ধান পান।

হঠাৎ করে ছবিটি নিয়ে এত চর্চা কেন? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ফেসবুকে কেউ কেউ ইঙ্গিত করছেন, মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের ভরাডুবিকে প্রতীকীভাবে ‘কমলার বনবাস’-এর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেছেন কমলা হ্যারিস।

Leave a comment