চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন এলাকায় মাদক কারবারিদের সিন্ডিকেটের পাহাড়।ওয়ারলেস, তালতলা,রেল স্কুল,সেগুন বাগান,ঝাউতলা ডিজেল কলোনি,আমবাগান রেলগেইট, মতিঝর্না টাংকির পাড় এলাকায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা । মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্কের কাছে হার মানছে খুলশী থানার পুলিশ।
মাদকদ্রব্য সেবনে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিসহ কাজের দক্ষতা কমিয়ে দেয়। বিচার-বিবেচনা, ঠিক ভুল বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে যায়, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা আবেগ নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকেনা।
রাবিপ্রবি'তে ম্যানেজমেন্ট দিবস উদযাপন
৪৪তম বিসিএসে ৩ হাজার ৯৩০ জনের মৌখিক পরীক্ষা বাতিল
১৪ জন নেতাকর্মী নিয়ে ধানমন্ডিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল
শহরে লাগামহীন মাদকের বিস্তার ধংসের দিকে যাচ্ছে। জাগ্রত জীবন মাদকের মরন ছোবলে পড়েনি এমন কোনো এলাকা নেই। এত কড়া নজরদারির পরেও বন্ধ হচ্ছে না মাদকের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়া মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না প্রশাসন।
ওর্য়ারলেস,সেগুন বাগান,তালতলা, ঝিলেরপাড় এলাকায় মোহাম্মদ ফখরুল (৩৯) ও কাইয়ুম হোসেন (৪০) সহ ঐ এলাকার শেষ প্রান্তে ওসমান (৩০) তার স্ত্রী মনি (২৮) পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া চোলাইমদ, পেন্সডিল,ইয়াবা,গাজাসহ বিভিন্ন মরনব্যধি নেশা দ্রব্য বিক্রি করছেন তারা।
রেলওয়ে স্কুলের সামনে রীতিমতো নাম করেছে গাজা,ইয়াবা বিক্রি করে নারী ব্যবসাহী নাজু আক্তার (৩৫) আগে আওয়ামী নেতাকর্মী দের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের চাঁদা দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত নাজু।
আমবাগানের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর (৩৩)মাদক সম্রাট খুচরা বিক্রি থেকে শুরু করে পাইকারি হোল শেলার আলমগীর শুধু এই এলাকায় নয় অন্যান্য এলাকাতেও ইয়াবা,চোলাইমদ,গাজা,পেন্সিডিল পাইকারি বিক্রি করে। মাদক মামলায় কয়েক বার সাজা খাটতে হয়েছে আলমগীরকে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সে আবার মাদক ব্যবসা শুরু করে।
আমবাগান রেলবিটের উপড়ে মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৮) পুলিশের সোর্স ইয়াকুব (৩৫) গাঁজা, ইয়াবা ব্যবসায় মাতোয়ারা। দিনে খুচরা বিক্রি করলেও রাতে নিয়োমিত বসে নেশার আসর দলবদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর স্পটে গলাতে থাকেন ইয়াবা। গাঁজা সেবন কারিরা বেশ মনহর পরিবেশ নেশা করেন স্পটে বসে। খুলশী থানার সোর্স ইয়াকুবের নিয়ন্ত্রণে চলে স্পটটি।
ঝাউতলা ডিজেল কলোনি ও আশপাশ এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ করেছে বাবু (৩২) প্রকাশ্য মাছ বাবলু স্ত্রী মনি বেগম (৩০) স্বামী স্ত্রী দু’জনে প্রকাশ্যে মদ,গাজা,ইয়াবার ব্যবসা করছে।
মতিঝিল টাংকির পড় এলাকায় বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে মাদক ব্যাবসাহী সুমন(৩৫) সাদ্দাম (৩০)এর নাম। আওয়ামী সরকার থাকাকালীন নিজেদের পরিচয় দিতেন আওয়ামী কর্মী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাল্টে যায় তাদের দলীয় লেবেল।
খুলশী থানার এলাকাবাসী মুক্তি চায় এই মাদক ব্যবসায়ীদের ছোবল থেকে । এ যেন এক মাদকের হাট বাজার। প্রতিনিয়ত বেড়ে উঠছে মাদক সেবনকারী। মাদক ব্যবসাহীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও এটি কোন বিষয় না তাদের কাছে। তারা কিসের ভিত্তিতে দাপটের সাথে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে সে প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে আমরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছি। মাদক স্পটগুলোতে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি ।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টা কোনো দিকে থেমে নেই। প্রতিনিয়ত সমাজের কাছে আমাদের নাম খারাপ হচ্ছে তাদের জন্য। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার।
প্রতিনিধিঃ নুর নবী