মো:জাহিদুল ইসলাম প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
A budget of 7 lakh 97 thousand crore rupees is coming
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে
এবার সংবিধান সংশোধন নিয়ে যে প্রস্তাবনা দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
গাইবান্ধার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় আটার ডাল (চালের গুঁড়া বা আটার সঙ্গে গোস্তর তরকারি) অনেক বছরের পুরোনো সুস্বাদু এই খাবার আগে শুধু গ্রামগঞ্জে জনপ্রিয় থাকলেও এখন শহরেও ছড়িয়ে পড়ছে এর নামডাক।
'স্বাধীনতার পূর্ববর্তী কিংবা পরবর্তী সময়ে গাইবান্ধার অনেক এলাকায় বিশেষ এই খাবার খুবই জনপ্রিয় ছিল। এখনো এই খাবারের প্রচলন থাকলেও কালের বিবর্তনে এর পরিসর সংকুচিত হয়ে এসেছে। ছোটবেলা থেকে দেখেছি এলাকায় কেউ মারা গেলে, মজলিশ কিংবা কোথাও বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান হলে সেখানে সাদা ভাতের সঙ্গে আটার ডাল পরিবেশন করা হতো এবং এটা খুবই স্বাদের একটা খাবার ছিল।'
এই সুস্বাদু খাবারটি দীর্ঘকাল এলাকার ঐতিহ্য বহন করে এসেছে খাবারটি, মানুষ একটি ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ পায় । সেই সঙ্গে খাবার তালিকায় আবার এই খাবারটি যোগ হলো হোটেলে আটার ডাল হিসেবে।
শুধু গাইবান্ধায় নয়, আশেপাশের জেলাতেও আটার ডালের বেশ জনপ্রিয়তা । এখনো কম-বেশি রয়েছে। তবে এলাকা বা অন্য এলাকায় একেক জায়গায় একেক নাম। যেমন: জামালপুরে পিঠালি, কুড়িগ্রামের চিলমারী অঞ্চলে এটাকে বলা হয় মেলানি, টাঙ্গাইলে মেন্দা, আর সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে আটার ডাল পিটলি নামে পরিচিত।
সম্প্রতি গাইবান্ধা শহরের কয়েকটি হোটেলে বাণিজ্যিকভাবে আটার ডাল তৈরি করা শুরু করছে, যা পার্সেলের মাধ্যমে অনেক জায়গায় যাচ্ছে।
গাইবান্ধায় প্রথমবারের মতো ঐতিহ্যের এই খাবার বাণিজ্যিকভাবে হোটেলে ভোক্তাদের পাতে তুলে ধরেছে মৌসুমী হোটেল। প্রায় বছরখানেক ধরে ঐতিহ্যবাহী এই খাবারের বাণিজ্যিক রূপ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে শহরের ভোক্তারাও মাত্র ১৫০টাকা এই খাবারটি খাচ্ছে তাতেও তৃপ্তি উপভোগ করছে ভোক্তারা।