মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ বলেছেন, নতুন আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের জন্য বিদেশ থেকে বিচারক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। আগের আইনে এমনটি ছিল না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে ২০টি সংশোধনী আনা হয়েছে।
কুমিল্লা বিজয় দিবসে মহানগর জামায়াত ও এনডিএফ এর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ নানা কর্মসূচি
সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শাহবাগ থেকে ফিরেই ঋণের লোভ দেখানো সংগঠকের বাড়ি ঘেরাও
সচিব বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ সংক্রান্ত বিশেষ আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভে উদ্বিগ্ন উপদেষ্টা পরিষদ। কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, আজ বিকেলে এক বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশ জারি হলে ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর বিচারের সুপারিশ করতে পারবে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবে বেশ কিছু বিষয় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ:
1. রাজনৈতিক দলগুলির নিষেধাজ্ঞা (স্থগিতাদেশ, নিবন্ধন বাতিল বা উপযুক্ত শাস্তি)
2. রায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলির আপিলের বিধান
3. অন্তর্ধান, যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, গর্ভধারণ এবং বন্ধ্যাকরণকে অপরাধ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব।
4. অপরাধের প্ররোচনাকারী হিসাবে কমান্ডার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিচারের প্রস্তাব করা;
5. অপরাধের অঞ্চলে দেশের আঞ্চলিক জলসীমা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব;
6. যদি একজন বাংলাদেশি অন্য দেশে অপরাধ করে, তাহলে তারও বিচার করা যেতে পারে;
7. একজন বিদেশী মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করলেও তার বিচার করা যেতে পারে;
8. ডকুমেন্টারি প্রমাণ হিসাবে অডিও-ভিডিও ডেটা ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবিত বিধান।