আব্দুল মান্নান : কলাপাড়া প্রতিনিধি
ফরিদপুর এবং কুমিল্লাকে বিভাগ করার সুপারিশ
১৭ বছরে সাগরকন্যা ইয়ুথ সোসাইটির মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা
Pakistani kills friend over orange juice during iftar
কুয়াকাটায় নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাস্তার কাজ।
অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে মেসার্স গাজী কনস্ট্র্রাকশনের বিরুদ্ধে।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কুয়াকাটা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত কুয়াকাটা হোটেল রোজভ্যালি (বর্তমান নিউ সিকদার প্যালেস) থেকে ফকিরবাড়ি পর্যন্ত ১৪৫০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং সংস্কারের কাজে অনিয়মের অভিযোগ করে এলাকাবাসী।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কোভিড ১৯ প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্প (এলজিসিআরআরপি) এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরাদ্ধকৃত রাস্তা সংস্কারে ঠিক সময়ে কাজ শুরু না করা, তরিগরি করে কাজ উঠনো, ধুলাবালু ঠিকমত পরিস্কার না করে সামান্য পরিমান বিটুমিন দেয়া , পুরানো ইট ব্যবহার,কমপক্ষে ১২-১৫ মিলিমিটার কার্পেটিংয়ের পরিবর্তে কোথাও অর্থেক আবার কোথাও তার থেকেও কম কার্পেটিং দিয়ে নামেমাত্র রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ করার অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গাজী কনস্ট্র্রাকশনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার এমন অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়, তবে নিয়মের বালাই না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মনগড়া কাজ করা হচ্ছে, রাস্তার পাশের পুরানো ইট দিয়ে মেরামত করে তার উপরে কোনোমতে পরিস্কার না করেই বিটুমিন দেয়া হচ্ছে। তবে নিয়মের মধ্যে থেকেই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আর কাজের দায়িত্বে থাকা পৌর কর্তৃপক্ষ জানালেন কাজের অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুয়াকাটা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুন মাসে শুরু হওয়া কুয়াকাটা পৌরসভার আওতাধীন ২২৪০মিটার রাস্তাসহ মোট ৪টি স্কিনের কাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স গাজী কনস্ট্রাকশন। যার ব্যায় দরা হয় ৬৯ লক্ষ ৪ হাজার ৫শত পচাঁশি টাকা। যা শেষ হওয়ার কথা ২৪ এর ১০ডিসেম্বরের মধ্যে।
নবীনপুর এলাকার বাসিন্ধা মো. হাসান আল-আউয়াল বলেন, এই রাস্তাটি সংস্কারে ৬মাস সময় নেয়া হয়েছে অথছ এতদিন কোনো কারো খোঁজ নেই। হঠাৎ গত শনিবার কাজ শুরু করে কোনোমতে নামেমাত্র সংস্কার করে শেষ করছে। বালুর মধ্যে বিটুমিন দিচ্ছে বিভিন্ন স্থানে এমনভাবে কাজ করছে কোনোমতে একবার বৃষ্টি হলে আগের থেকেও খারাপ হয়ে যাবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. আল-আমিন জানান, বিগত দিনে আমাদের যেভাবে কোনো কথার মূল্যে ছিল না সেভাবে তাদের কাছে আমাদেরও এখন মূল্যে নেই, তারা মনের মতো কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজটি শুরুর দিকে আমরা যেভাবে আশাকরছি তার উল্টো হচ্ছে, যেভাবে আধাইঞ্চি দেয়ার কথা পিচ দিচ্ছে আর অর্ধেকের কম। এই রাস্তা মনে হয় না বেশীদিন টিকবে।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাজী কনস্ট্র্রাকশনের পরিচালক মো. ফেরদাউস গাজী প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে কাজের অনিয়ম অস্বিকার করে সঠিক কাজ হচ্ছে বলে দাবি করেন। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ১০ মিলির কম পিচ দিচ্ছে দেখালেও কোথাও কম আবার কোথাও বেশী আছে বলে দাবি তার। তবে কোথাও কম কোথাও বেশী দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানায় কুয়াকাটা পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সুজন। তিনি আরো বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভার কার্যসহকারীর সার্বক্ষনিক উপস্থিতিতে কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা বিষটিকে এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখছি কোনো প্রকার নিয়মের বাহিরে গেলে আমরা কাজের বিল বন্ধ করে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।