সাপ্তাহিক ছুটিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে সমুদ্র শহর কক্সবাজার। পর্যটকদের অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন বালিয়াড়িতে। শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোথাও কোনো খালি কক্ষ নেই।
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, দরিয়ানগর পর্যটন পল্লি, হিমছড়ির ঝরনা, পাথুরে সৈকত ইনানী-পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, ঐতিহাসিক প্রেমের নিদর্শন মাথিন কূপ, নেচার পার্ক, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ পল্লিসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলো এখন জমজমাট। রুম না পেয়ে বাধ্য হয়ে কক্সবাজারও ছাড়তে হচ্ছে অনেককে।
পথ শিশুদের জন্য খাবার বিতারণ।
শঙ্কায় রয়েছেন আজহারী, ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস
JAMAAT-E-ISLAMI PROMISES JOBS FOR WOMEN, NOT HOUSE ARREST
কক্সবাজারের সচেতন মহল দাবি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া দ্বিগুণ করেছে। প্রশাসনের অভিযান না থাকায় গলাকাটা বাণিজ্য করার সুযোগ পেয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বালিয়াড়িতে ভিড় করেছে লাখো পর্যটক। বালিয়াড়ির সামনে নীল জলরাশিতেও মানুষের ভিড়। সবাই মেতেছেন বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাসে।
ভোলা থেকে আগত পর্যটক শাহিন বলেন, গতকাল রাতে কক্সবাজারে এসে পৌঁছেছি। রাত থেকে এখনো রুম পাইনি। বাধ্য হয়ে সৈকতের চেয়ারে রাত কাটিয়েছি। রুম যখন পাচ্ছি না তাই বাধ্য হয়ে হয়ে চলে যাচ্ছি।
শফিক নামে আরেক পর্যটক বলেন, ভোরে পরিবারের সাত সদস্য নিয়ে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছি। এখনো পর্যন্ত রুম পাইনি। কটেজে দুটি রুম পেয়েছি সেটি মানসম্মত না। উলটো প্রতি রাত ১০ হাজার করে চাচ্ছে। এখন সৈকতে পা ভিজিয়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
সৈকত নামে আরেক পর্যটক বলেন, বাস থেকে নেমে এখনো রুম পাইনি। রুম খুঁজতেছি। কিন্তু এখনো সৈকতে পা রাখার সুযোগ হয়নি।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ডায়মন্ড কাশেম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। হোটেল রুম খালি নেই।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের আগমন হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটক সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যক্রম সৈকতে দেখা যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।