চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ নুর নবী
ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়ক পর্যন্ত পণ্যের পসরা। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ফুটপাত কোথায়, এ প্রশ্ন এখন বাসিন্দাদের। ফুটপাতে হাঁটতে না পেরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কেই চলছেন পথচারীরা। এতে করে সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে মূল সড়ক। নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে ফুটপাত রাখার যে বিধান রয়েছে তা একেবারেই উপেক্ষিত। যারা তদারকি করার তারা এ বিষয়ে নীরব। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। ফুটপাতে মালামাল রেখে হকাররা ব্যবসা করায় ফুটপাতকেন্দ্রিক দখলবাজিতে কোটি কোটি টাকা আদায় করছে চাঁদাবাজরা। আর এ সব চলছে রাজনৈতিক নেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের প্রশ্রয়ে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ব্যর্থ হয়েছে। আর পুলিশও কোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে পারেনি। তবে নগরবাসী বলছেন, বর্তমান মেয়র রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ, তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফুটপাত দখলমুক্ত করা কঠিন নয়। নগরবাসীকে চলাচলের জন্য ফুটপাত মুক্ত করতে তিনি কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেই পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের চেহারা। নাগরিকদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মেয়র প্রতিদিনই এ সব দেখেও না দেখার আচরণ করছেন। ফুটপাত দখলের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই কর্নেল হাট থেকে শুরু করে তাকে খান অলংকার মোর। কর্ণের হাট রোডের ফুটপাত ওই এলাকার মানুষ সর্বশেষ কখন দেখেছে, তা কেউ জানেন না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন। সড়কই পথচারীদের হাঁটার জায়গা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা প্রতিদিনের ঘটনা। আর পুরো নগরীতেই ৫০ হাজারের বেশি হকার রয়েছে। স্থানীয়ভাবে ওয়ার্ড ও এলাকাভিত্তিক কয়েকটি হকার সংগঠন এবং স্থানীয় বিএনপি'র ড়রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে ওই হকাররা।