টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পাওনা টাকা ও চেক ফেরত দেওয়ার কথা বলে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হেদায়েত রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি সম্পর্কে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর চাচাতো ভাসুর এবং জেলার কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে কর্মরত।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে শেরপুরে লিফলেট বিতরণ
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন ক্রীড়া সাংবাদিক দেব চৌধুরী
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আকালু এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রুবেল ওই সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে টাঙ্গাইল পৌরশহরে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও চেক নেয়। কিন্তু পরবর্তিতে জমি কিনে দেয়নি। এছাড়া টাকা ও চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো কু-প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে টাকা দেওয়ার জন্য প্রবাসীর বাড়িতে যায় রুবেল। পরে বাড়িতে কেউ না থাকায় এবং টাকা দেয়ার আশ্বাসে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
ওই প্রবাসীর স্ত্রীর শাশুড়ি লাইলী বেগম জানায়, ছেলে টাকা পাঠাতো সেই টাকা রুবেল আত্মসাত করেছে। লাখ লাখ টাকা নিয়ে এখন অস্বীকার করছে। ছেলে তার বউকে বলেছে টাকা ফেরত না নিতে পারলে তার সাথে সংসার করবে না।
প্রবাসীর স্ত্রী জানায়, প্রবাস থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা জমিয়ে শহরে একটা জমি কিনতে ভাসুর রুবেলের কাছে নগদ টাকা ও চেক দিয়েছিলাম। কিন্তু সে জমি কিনে দেয়নি টাকা ও চেকও ফেরত দেয়নি। পরে টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা করতে চাইলেও গ্রহণ করেনি পুলিশ। পরে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হেদায়েত রুবেল বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষ ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তভার দেয়া হয়েছে ডিবিতে। মামলার তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, ঘটনাটি তার ব্যক্তিগত। এই বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।