Dhaka, মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

সামরিক শাখার প্রধান দেইফের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করল হামাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
Bangla Today News

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিলো। এবার হামাসের পক্ষ থেকেও এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে দেইফ নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, গত ১৩ জুলাই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় মোহাম্মদ দেইফ নিহত হন। তখনই এ খবর প্রকাশ করা হয়েছিলো ইসরায়েলের পক্ষ থেকে।

যদিও এতদিন হামাসের পক্ষ থেকে দেইফের নিহত হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হামাস দেইফের নিহতের খবর প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে। সেইসঙ্গে বিবৃতিতে হামাস জানায়, সংগঠনের সামরিক শাখার উপপ্রধান মারওয়ান ইশা নিহত হয়েছেন। যদিও এই কমান্ডারের নিহতের খবর যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের মার্চেই দিয়েছিলো।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ দেইফ হামাসের সামরিক শাখা আল–কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডার। দেইফের জন্ম ১৯৬৫ সালে, খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে। ১৯৪৮ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই শরণার্থীশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়।

দেইফের নাম ছিল মোহাম্মদ মাসরি। ১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তিফাদা শুরুর পর তিনি হামাসে যোগ দেন। তখন তার নাম হয় মোহাম্মদ দেইফ। ১৯৮৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দেইফ। তখন ১৬ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। হামাসের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজা থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন দেইফ। পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তবে নানা বিষয়ে তার আগ্রহ ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কমিটির প্রধান ছিলেন। মঞ্চেও অভিনয় করেছেন।

গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় অসংখ্য টানেল বা সুড়ঙ্গ রয়েছে। এ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন দেইফ। এ ছাড়া তিনি হামাসের বোমা বানানোর প্রকল্পে ভূমিকা রেখেছেন। তবে সচরাচর প্রকাশ্যে আসতেন না দেইফ।

উল্লেখ্য, দেইফের নাম প্রায় কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টায় দেইফ তার একটি চোখ হারান। সেই সঙ্গে পায়েও গুরুতর আঘাত পান। ২০১৪ সালে দেইফের স্ত্রী, সাত মাসের পুত্রসন্তান ও তিন বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয় ইসরায়েলের বিমান হামলায়।

Leave a comment