হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে একের পর এক ফিচার নিয়ে আসছে। তবে নিয়ম ভঙ্গ করলে অ্যাকাউন্ট ব্যান করতেও সময় নেয় না প্ল্যাটফর্মটি। ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা হোয়াটসঅ্যাপের।
এবার সে কারণেই ভারতের ৮৪ লাখ অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। মাত্র ১ মাসের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলোকে ব্যান করেছে মেটা। এর আগেই বেশ কয়েকবার এমন অ্যাকাউন্টগুলো নিষিদ্ধ করেছে সংস্থাটি।
The interim government is expected to receive around $1 billion in budgetary support from the World Bank and the Asian Development Bank
Erdogan called on the Muslim world to work together
Eid-ul-Azha will be celebrated in France on June 16
মেটার দাবি, তাদের প্ল্যাটফর্ম স্ক্যামের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে সন্দেহভাজন কিছু অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আসলে বহু ব্যবহারকারীই হোয়াটসঅ্যাপের কাছে এই ধরনের স্ক্যাম সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছিল।
কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই প্রায় ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(১)(ডি) এবং ৩এ(৭) ধারায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বারংবার অভিযোগ আসার ফলে নজরদারি বাড়িয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এরপরে অবিলম্বে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে ওই সংস্থা।
সংস্থার রিপোর্টে দেখানো হয়েছে যে, গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে এই সব অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬.৬১ লাখ অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাকি অ্যাকাউন্টগুলো যাচাই করার পরে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ব্যবহারকারীদের থেকে কোনো রকম অভিযোগ না পেয়েও ১৬ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কারণ নজরদারির সময় অপব্যবহারের বিষয়টি সামনে এসেছিল।
সংস্থার পক্ষ প্রকাশ করা রিপোর্টে আরও দেখানো হয়েছে যে, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ব্যবহারকারীদের থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এর পাশাপাশি ই-মেইল কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে জমা পড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোম্পানির বক্তব্য, স্ক্যাম এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত কাজেই জড়িত ওই অ্যাকাউন্টগুলো।
কী কী কারণে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হচ্ছে তা জেনে রাখুন-
ব্যবহারকারীরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে একের পর এক মেসেজ পাঠাতে থাকেন কিংবা প্রতারণামূলক ভুলভাল মেসেজ অথবা গুজব ছড়ান, তাহলে তাঁদের অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
কোনো ব্যবহারকারী যদি আইন লঙ্ঘন করেন এবং সন্দেহজনক কাজকর্মের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের অ্যাকাউন্টের উপরেও চাপানো হবে
৩. হোয়াটসঅ্যাপে যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অথবা প্রতারণা করার অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্তের পরে এই ধরনের ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হবে।