Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
Bangla Today News

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারত ও দেশটির বেশিরভাগ মিডিয়ার অভিযোগ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেছেন এক ভারতীয় সংবাদিক। এর মধ্যে ‘নূর হোসেন দিবসে’ আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার ঘোষণা ও সেটিতে বাধা প্রদান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন, বিতর্কিত সাংবাদিকদের আটক ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টিও ছিল।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলতে আসেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

 

এ সময় ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্ন, “বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ আয়োজনে বাঁধা দেওয়া হয়েছে উদ্বেগজনক সহিংসা ছড়িয়ে। নারীদের ওপর হামলা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, সাংবাদিকদের জেল এবং প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচকরা বলছেন ছাত্রদের ৫ আগস্টের বিপ্লব দেশকে আবারও সেখানে নিয়ে যাচ্ছে যেখান থেকে এটির শুরু হয়েছিল। আমরা দেখেছি ভেদান্ত প্যাটেল এসবের নিন্দা জানিয়েছে।”

“বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আপনার কী কোনো কথা হয়েছে?”

জবাবে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাদাভাবে কী কথা হয়েছে সেটি এখানে আমি বলব না। তবে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে স্পষ্ট করেছি, যেমনটা আমরা বিশ্বের সব দেশের কাছে করি যে, আমরা শান্তপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করি এবং চাই না সরকার কোনোভাবে শান্তপ্রিয় আন্দোলনে সহিংস দমনপীড়ন চালাক।” আমরা দেখেছি বেদান্ত প্যাটেল এসবের নিন্দা জানিয়েছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছি কি না, তাও জানতে চান ওই সাংবাদিক।

এরপর ওই ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দেওয়ার উদ্যোগের বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং জিজ্ঞেস করেন এ ব্যাপারে তার কিছু বলার আছে কিনা। জবাবে মিলার বলেন, তিনি বিষয়টি টুকে রাখবেন এবং তাদের কিছু বলার আছে কিনা দেখবেন।

Leave a comment