শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের পরবর্তী সময়ে, বাংলাদেশ এখন পুনর্গঠন এবং তার প্রশাসনের সময় দুর্নীতির মাধ্যমে হারানো বলে অভিযোগ করা অর্থ পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করেছে। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্ব দাবি করছে যে তারা বিলিয়ন পাউন্ড পুনরুদ্ধার করতে চায়, যা তারা বলছে, আগের শাসনামলের মিত্ররা অবৈধভাবে অর্জন করেছে। এই অর্থ জাতীয় পুনর্গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মনে করছে।
তদন্তকারীরা অভিযোগ করছেন যে হাসিনার আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত প্রভাবশালী পরিবার ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে অনাদায়ী ঋণ। তারা বিশ্বাস করেন যে এই সম্পদের একটি বড় অংশ হুন্ডি পদ্ধতির মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার একটি বহুল প্রচলিত অনানুষ্ঠানিক অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি।
নিউজিল্যান্ডের রাজধানীতে হচ্ছে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশন
নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা
মালয়েশিয়ায় যৌন নিপীড়নের শিকার দুই বাংলাদেশি নারী উদ্ধার
অবৈধ অর্থের সূত্র যুক্তরাজ্যের দিকে ইঙ্গিত করছে, যা গোপন সম্পদের জন্য একটি কুখ্যাত নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যা লন্ডনসহ বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্য অবজারভার এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে যে, হাসিনার প্রশাসনের প্রধান ব্যক্তিদের সাথে জড়িত একটি বিশাল রিয়েল এস্টেট নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের এই সম্পত্তিগুলোতে ৩৫০টিরও বেশি বাড়ি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে সাধারণ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে বিলাসবহুল ম্যানশন পর্যন্ত রয়েছে। এই সম্পত্তির মালিকরা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক এবং অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অভিজাত শ্রেণির সাথে যুক্ত, যার মধ্যে দুইজন প্রাক্তন মন্ত্রীও রয়েছেন। তবে অভিযুক্তরা দাবি করছেন, এই অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নতুন সরকারের এজেন্ডার অংশ।