গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের এক-চতুর্থাংশ জনগণ বর্তমানে দারিদ্র্যের কবলে পড়েছে, এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হায়োম। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৫ শতাংশ ইসরায়েলি নাগরিক বর্তমানে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, যা একটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দেয়। এটি মূলত গাজার ওপর ইসরায়েলের চলমান আক্রমণের ফলে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতির প্রতিফলন, যার ফলে দেশটির অর্থনীতি চরম বিপদের মুখে পড়েছে। এই সংকটটি ১৪ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের ফলস্বরূপ উদ্ভূত হয়েছে এবং এর কারণে ইসরায়েলের জনগণের জীবনযাত্রার মান ব্যাপকভাবে কমেছে।
গ্লোবাল রেটিংস সংস্থা এসঅ্যান্ডপি, ১৬ নভেম্বরের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শূন্য শতাংশ থাকবে। এর অর্থ হলো, দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত বছরের তুলনায় কোনো বৃদ্ধি পাবে না, বরং উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
আমি দেশ ছেড়ে পালাতে চাইনি: বাশার আল-আসাদ
Kusumba Shahi Mosque of Sultanate period is unique in history and tradition
মালয়েশিয়ায় বাধ্য শ্রমের অভিযোগ: বাংলাদেশি শ্রমিকদের মামলা করার অনুমতি
এ ছাড়া, ইসরায়েলের বাজেট ঘাটতি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ জিডিপির ৯ শতাংশে পৌঁছাবে এবং ২০২৭ সাল নাগাদ তা ৫-৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে! এমনকি, দেশের সরকারি ঋণের পরিমাণও ২০২৭ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২৩ সালে ছিল মাত্র ১২ শতাংশ।
এসঅ্যান্ডপি এই অর্থনৈতিক পতনের জন্য গাজার ওপর চলমান যুদ্ধকেই দায়ী করেছে, যা ইসরায়েলের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এদিকে, সম্প্রতি এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের প্রায় ৪৫ শতাংশ নাগরিক আশঙ্কা করছেন, যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে বা পরবর্তী সময়ে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। গাজার যুদ্ধের খরচ, সামরিক কার্যক্রম এবং দখলকৃত অঞ্চলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা একত্রিত হয়ে ইসরায়েলের অর্থনীতি ও সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
এ ছাড়া, যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট এই সংকট শুধু অর্থনীতিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের সমাজে ব্যাপক সামাজিক ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যে অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতি ইসরায়েলের জন্য একটি চরম সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে, যা দেশটির দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।