Dhaka, মঙ্গলবার, এপ্রিল ৮, ২০২৫

নারী সহিংসতা প্রতিরোধে পরুষ নির্যাতন আইন বাস্তবায়ন শূন্য

সিয়াম ইসলাম

প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০৮ এএম
Bangla Today News


মোঃ ওবায়দুল ইসলাম রবি 

“মা” থেকে সৃষ্টি ছেলে ও মে। যার পরিচয় ভাই ও বোন। শ্রেনী বিন্যাসে রূপ নেয় স্বামী ও স্ত্রী। তারপর থেক শুরু হয় নতুন কোন এক অধ্যায়। ধনী. গরীব ভেদাভেদে বিবেচনায় সংসার জীবনের সূচনায় “সংসার সুখের হয় রমনির গুনে”। নারী ও পুরুষে চরিত্র ভিন্ন হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীর অনেকটাই মিল খুজে পাওয়া যায়। পূর্ব পুরুষ থেকে প্রচলিত অনেক প্রবাদ বাক্যে থেকে পাওয়া যায়, নদীর পানি ঘোলা ভালো, জাতের মে কালো ভালো। যে নারী তাঁর চলন বাঁকা, নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, খালি কলশ বাজে বেশি।   

একটি পরিবার যখন তার সন্তানের (ছেলে) বিয়ের জন্য উপযুক্ত প্রাত্রী খুজতেন তখন ওই প্রবাদ গুলোর ছন্দ মিলিয়ে নিতেন। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদ অনেক ভারি না হলেও পূর্ব পরুষদের তথ্য বহুল বাস্তব জ্ঞান ছিল। যার প্রমান আজও অনেক নির্দেশনা বহন করে চলেছে। যার প্রতিটি নির্দেশনা পরুষের দ্বারা গঠিত।

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উনার জীবনের বাস্তব দিয়ে পৃথিবীর সকল উম্মতদের জন্য শিক্ষা দিয়েছেন। নারীরা নীড়ে সুন্দর, বাহিরের আলোতে নয়। নারী পদ্যার আড়ালে সুন্দর, প্রকাশ্যে নয়। এই প্রতিটি বাক্য কুরআন ও হাদিসের আলোকে প্রমানিত। তিনিও নারীর সম্মান দিয়েছেন তবে পুরুষদের অধীকারও অটল রেখেছেন। উম্মতদের আইন শিক্ষা দিয়ে বলেছেন, তোমাদের স্ত্রীদেরকে অপবাদ দিয়ো না, যতখন পর্যন্ত যথাযথ স্বাক্ষী দারা প্রামানিত না হয়, ওই নারী বা স্ত্রী দোষী। একইভাবে তিনি নারীদেরকে শিক্ষা দিয়ে বলেছেন, একজন পুরুষ বা স্বামী তার সারাটা জীবন সংসার জীবনের সুখ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সারাবেলা পরিশ্রম শেষে বাড়ি ফিরে তার পারিশ্রমিকটা তার স্ত্রীর হাতে তুলে দিচ্ছে। কিন্ত সেই পুরুষ স্ত্রীর দ্বারা লাঞ্ছিত হচ্ছে এবং ওই পুরুষ সংসারের আগুনে নীরবে জ¦লছে। সে কিন্ত প্রকাশ করতে পারছে না। অপরদিকে স্ত্রীর অল্পতুল্য হলেই বিচার সালিশসহ আইন আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়।  

সংসার জীবনে স্ত্রী- 

বিয়ের পূর্বে এজন নারী তার পরিবারের রাজকণ্যা। বিয়ের পরে গৃহবধু হয়ে অন্যের সংসারের দায়িত্ব নিয়ে শুরু নতুন জীবনে অধ্যায়। একটি সুখি সংসার জান্নাতের রূপকার কিন্ত অশান্ত সংসার, বাস্তব জীবনে একটি যুদ্ধের ময়দানের চেয়ে ভয়ংকর। যার পূর্ণরূপ জাহান্নামের একাংশ। একজন স্ত্রী তার বিয়ের কিছু দিন অতিবাহিত হলেই শুরু হয় তার কর্তৃত্ব। স্ত্রীর স্বামীর আয় কত? ব্যায় কোথায় করছে? তার নিজের সন্তান ও স্ত্রীর অংশ কম হচ্ছে কি? আয়ের বেশি অর্থ স্বামীর পরিবারের কাজে ব্যবহার হচ্ছে কি? বাড়ির কাজের লোকের প্রাপ্তি বেশি হচ্ছে কিনা? ওই সময় পরিবারের কর্তা বা স্বামী প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। তার পরিবারের সুখের কথা চিন্ত করে নিজের পিতা, মাতা ও ভাই - বোনদের সাথে অসাধু আচারণ শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই পরিবার থেকে স্বামীর পিতা-মাতাকে বিতারিত হতে হয়। ওই সময়ও স্ত্রী দ্বারা স্বামী বা পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে না?  

পরিবারের কর্তা বা স্বামী যখন কর্তৃত্ব দেখায়-

একটি পরিবারের প্রধান কর্তা বা স্বামী তার পরিবারের কর্তৃত্ব বাস্তবায়ন করতে গেলে শুরু হয় মহাপ্রলয়। প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামীকে মানুষিক অত্যাচার করা হয়। গ্রাম্য বা স্থানীয় সালিশ, সর্বশেষ আইন ও আদলত। ওই পরিবারের একমাত্র উর্পাজনকারী স্ত্রীর তৈরী  ফাঁদে পুরুষের শেষ ঠিকানা জেল-হাজতে। সংসার জীবনের নীরব যুদ্ধ গুলো বিজ্ঞ আদালতের বিচারক নিজেও জানেন, কিন্ত আইনের গতিতে বিচারক তার রায় দিয়ে থাকেন। যার কারনে ওই পরিবার এক নিমিশেয় নিঃস্ব হয়ে যায়। যখন যেথায় নারী পুরুষ তার অধীকার আইনের কাছে বন্ধী।     

চলিত প্রজন্ম এবং আইন-

বর্তমান পেক্ষাপটে দেশ ও প্রযুক্তি যত আধুরিক হচ্ছে নারী-পুরুষ সংহিসতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারী - পুরুষ অভয়ের মধ্যে অর্থের চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি হচ্ছে। ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতায় ভালো মন্দ বিচার করা হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। আইন-আদালতে চাহিদা মতে মক্কেল যত বেশি আয়ের উৎস্য দীর্ঘ মেয়াদী। সাধারনত আইন নারীর পক্ষে কাজ করছে। সেই সুযোগে সমাজের সকল পর্যায়ে শেষ অস্ত্র হিসাবে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ব্যবহার বেশি। 

একজন ছেলে ও মেয়ে উচ্ছ মাধ্যমিক পড়ালেখা শেষ না করতেই অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যায়। আবেগের তারনায় তারা উভয়ের মধ্যে বাল্য বিবাহের বন্ধন হয়। কিন্ত স্বল্প সময়ের পর মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ এবং ধর্ষন মামলায় ছেলের জীবন জেল খানাতেই শেষ। কখনও বা নারী ও নির্যাতন আইনে যা ধর্ষণের চেষ্টা করছে এই মর্মেও থানায় মামলা দায়ের হচ্ছে। কিন্ত বিজ্ঞ আদালতে স্বাক্ষী ছেলের পক্ষে গেলেও বিচারক তার “বিশেষ ক্ষমতা আইনে” পুরুষের কারাদন্ড দিচ্ছেন। ওই সময় পরুষ নির্যাতনের আইন কোথায়?    

নারীর আইন - পরুষ নির্যাতন আইন

একজন নারী হচ্ছে দাদী, নানী, ফুপু, মা, বোন ও স্ত্রী। নারী একজন কিন্ত তার রূপ এবং দায়িত্ব অনেক। যুগযুগ থেকে নারী পুরুষের একটি নীরব শক্তি। নারী সংসার জীবনের বড় একটি অধ্যায়, বিপদের সঙ্গী, সংকটময় সময়ের বড় হাতিয়ার, সংসার জীবনের সুখ প্রতিষ্ঠিত করার এমাত্র অবলম্বন। কিন্ত ওই নারী যদি সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। অন্যথায় নারী দ্বারা পুরষের জীবন নরকের চেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠে। অপরদিকে সংসার জীবনে যে নারী পুরুষ দ্বারা লাঞ্ছিত, তার বিচার আইন আদালতের মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে। তেমনি পুরষ নির্যাতন আইন তার বাস্তবরূপ দিতে হবে। নারী পক্ষ মামলায় পুরুষ অব্যহতি পেলেও বাদি পক্ষকে আইনের আওতায় নিয়ে সঠিক বিচার প্রাপ্তি অনেক কম। চলমান প্রচলিত আইনে রূপরেখায় নারীর আইন বাস্তবায়ন থাকলেও পুরুষ নির্যাতন আইন শূন্য।   

কুরআন-হাদিসে নারী ও পুরষ নির্যাতনের আইন- 

আল্লাহ যখন পৃথিবী এবং সকল সৃষ্টি করেছেন এবং মুসলমান জাতি তা শিকার করছে। ওই সময় আল্লাহর আইন কেন অমান্য করে নারী- পরুষের বৈষম্য তৈরী হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে নারীর অধীকার বাস্তবায়ন হচ্ছে কিন্ত আইনের ফাঁদে শুধু পরুষ কেন ? ইসলাম ধর্ম কখনও কোন জাতিকে আলাদা করে দেখেন না। পৃথিবীতে বোধগম্য ৩হাজার ৪শত ভাষার মানুষ রয়েছে। যেখানে শ্রেনী বিন্যাশে উল্লেখযোগ্য ধর্ম গুলো মুসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট্রানসহ বিভিন্ন জাতি ও ভাষার সৃষ্টির রূপকার মাহন আল্লাহ। কুরআনের সূরা বাকারায় আল্লাহ বলেছেন আমি কোন সম্প্রদায়কে দেখে সাহায্য সহযোগিতা করিনা। কারন সকল সৃষ্টিই আল্লাহর। তাহলে মানব সৃষ্টি আইন বাস্তবায়নেও তার ব্যাতিক্রম কেন? স্বামী-স্ত্রীর অধিকার নিয়ে যখন আল্লাহ তার কুরআনের সূরা বাকারাহ ১৮৭-২২৩ নাম্বার আয়তে বলেছেন, সূরা নিসার ৪, ১৯, ৩৪-৩৫, সূরা তাগাবুনে ১৪ এবং সুরা তালাক্ব এর ৬-৭ আয়াতে বলেছেন। অথচ মানব সৃষ্টি আইন এর রূপ ব্যাতিক্রম কেন?             


 

Leave a comment