মশিউর রহমান রাসেল,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার এসেছে। তাঁদের আগে রাস্ট্রের গ্রহণযোগ্য সংস্কার করে নতুন দেশ রূপান্তর করে অর্জন করতে হবে। পরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে হবে। বিগত সরকার জামায়াতকে চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও বরং জামায়াতের অগ্রগতি আগের চেয়েও বেশি হয়েছে।
শেখ হাসিনা ১৫বছর ধরে যাদেরকে রাজনৈতিকভাবে শত্রু মনে করেছে তাদেরকেই হত্যা করেছে। জামায়াতের ৫জন নেতাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তারা হত্যা হয়নি, শহীদ হয়েছেন। এদেশের অসংখ্য মানুষকেই কারাগারে রেখে তিলে তিলে শেষ করেছে। বেশি নির্যাতন করেছে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের প্রতি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী মরে যায়নি। দেশের জনসাধারণ জামায়াতের প্রতি অতিতের সব সময়ের থেকে এবং অন্যান্য দলের চেয়ে বেশি আস্থাশীল। বাংলাদেশে জামায়াতকে কেন্দ্র করে জনসাধারণ বর্তমানে বিকল্প চিন্তা করছে। রাজনীতির পরিবর্তন হলেও টেকসই হয় না। এজন্য আল্লাহ ও রাসুলের পথ ধরে মানুষের পাশে সমাজ সেবামূলক কাজ করতে হবে।
ঝালকাঠি জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অ্যাড. হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য ও বরিশাল জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ও বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস শেখ নেয়ামুল করীম। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ ফরিদুল হকের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হাই, শুরা সদস্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সদর আমীর মাওলানা মনিরুজ্জামান, পৌর আমীর মাওলানা মনিরুজ্জামান তালুকদার, নলছিটি আমীর মাওলানা শামসুল হক, রাজাপুর আমীর মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন, কাঠালিয়া আমীর মাস্টার মজিবুর রহমান।
প্রধান অতিথি ছাত্রদের অবদান স্বীকার করে বলেন, দাবি আদায়ে ছাত্ররা যখন মাঠে নামে তখনও ঠাট্টা, বিদ্রুপ ও কটাক্ষ করে কথা বলে ছাত্রলীগ-পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে মানুষকে হত্যা করে। হত্যার কবল থেকে শিশুও রেহাই পায়নি। তবুও অধিকারের আন্দোলন থেকে ছাত্ররা একচুল পরিমাণও সরে যায় নি। এর কারণেই নেক্কার জনকভাবে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়েছে। ৪৫মিনিটের আল্টিমেটামে অল্প সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করতে হবে।