দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ভর্নাপাড়া গ্রামের ইজিবাইক চালক রায়হান কবির মিলনকে (২২) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নে সড়কের পাশে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় র্যাবের অভিযানে প্রধান আসামি হোসেন আলীকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১৩ অধিনায়কের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সালমান নূর আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
আদম ব্যবসায়ী শামীম কর্তৃক ধর্ষনে প্রবাস ফেরত ফাতেমা গর্ভবতী, শামীম গ্রেফতার।
শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই কবে পৌঁছাতে পারে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা
এর আগে গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন নিমতলা মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হোসেন আলী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে রায়হান কবির মিলন ইজিবাইক নিয়ে ভাড়া খাটানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাতভর পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন মিলে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি।
পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারে যে, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঙ্গুরা আদিবাসী পাড়া গ্রামের জনৈক জনি মুর্মুর বাঁশঝাড়ের পাশে এক যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হন যে, এটি রায়হান কবির মিলনের মরদেহ।
লাশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। গলায় ২টি, ডান কানের নিচে ৪টি, বাম বুকের ওপর ১টি এবং পেটের বাম পাশে ২টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ওই দিন রাতেই নিহত রায়হান কবির মিলনের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এবং র্যাব-০৫, সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ যৌথভাবে ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে গতকাল ৫ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানাধীন নিমতলা মোড় এলাকা থেকে মামলার পলাতক প্রধান আসামি হোসেন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত হোসেন আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান কবির মিলনকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল কারণ এবং অন্য কোনো সহযোগী ছিল কিনা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।