শুধু খুন-গুম-ঘোষণা নয়, সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী ও তার কর্মী বাহিনী ১৫ বছর ধরে রাউজানে ‘আয়না বাড়ি’ চালিয়েছে। সেখানে শত শত মানুষকে নির্যাতন করা হয়। অনেক নারীও এর শিকার। এখন সেই নির্মমতার বিচার চান ভুক্তভোগীরা।
আগে গ্রহণযোগ্য সংস্কার, পরে নির্বাচন, তারপরে সরকার গঠন : অ্যাড. হেলাল
রাতে স্বামীর সঙ্গে বের হয়ে ভোরে পাওয়া গেল স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ
মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও চালিয়ে যাচ্ছে যশোরে দেশ ক্লিনিক
উপরে একতলা বিল্ডিং। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে নীচে একটি ভয়ঙ্কর নরক রয়েছে। চট্টগ্রামের রাউজানে সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর এই ‘আয়না’ ছিল। যা তিনি উপজেলা সদরে নিজ বাগানে তৈরি করেছেন।
আজিম উদ্দিন, পৌর এলাকার বিএনপি কর্মী মো. নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার এই 'আয়না'। 2018 সালের নির্বাচনের আগে কীভাবে তাকে এখানে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছিল তা তিনি বলেছিলেন। এরপর তাকে অস্ত্রসহ হস্তান্তর করা হয়।
আজিম উদ্দিন জানান, বাগানবাড়ির একপাশে অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি জায়গায় সুড়ঙ্গের মতো দরজা দিয়ে মাটির নিচে তৈরি করা হয়েছে এই আয়না ঘর। তিনি বলেন, এখানেও অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তবে আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনেও কেউ কথা বলার সুযোগ পাননি।
শুধু আজিম নয়, ফজলে করিমের তত্ত্বাবধানে তার ক্যাডাররা জানালাবিহীন এই ‘আয়না ঘরে’ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষসহ লোকজনকে নির্যাতন করত। বন্দুকের মুখে জমি নেওয়ার ঘটনাও রয়েছে। অভিযোগ, সেই সময়ের পুলিশও 'আয়না'র কথা জানত।
প্রসঙ্গত, আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ছাত্রদের গণসমাবেশে গ্রেফতার হন। ‘আয়না’র রক্ষীরাও পালিয়ে যায়।